আলিপুরদুয়ার : লোকালয়ে ঢুকে গ্রামবাসীদের আক্রমণ করেছিল। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। অবশেষে তিন দিন পর সুপারি গাছ থেকে ধরা হল চিতাবাঘকে (Leopard)। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের শীলবাড়িঘাট এলাকার বাসিন্দারা। বনকর্মীরা জাল দিয়ে জড়িয়ে লেপার্ডটিকে নিয়ে যান। পশু চিকিৎসককে দেখানোর পর জলদাপাড়ার জঙ্গলে ছাড়া হবে চিতাবাঘটিকে।
আজ সকালে লোকালয়ে চিতাবাঘ রয়েছে খবর পেয়ে আসেন বনকর্মীরা। পুরো জায়গাটি নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। যাতে চিতাবাঘটি পালিয়ে যেতে না পারে। খাঁচাও আনা হয়। ছিল অ্যাম্বুলেন্স। চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। কিন্তু, চিতাবাঘটি কখনও সুপারি গাছে উঠে পড়ে। সেখান থেকে লাফিয়ে আম গাছে চলে যায়। গাছ থেকে চিতাবাঘকে নামাতে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় দমকলকে ডাকা হয়। দমকলের মই ব্যবহার করে যাতে গাছে ওঠা যায়। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ভিড় করায় চিতাবাঘটিকে ধরতে সমস্যা হচ্ছিল। ভিড় সামলাতে আসে পুলিশ। শেষপর্যন্ত প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় ধরা হয় চিতাবাঘটিকে।
রবিবার শীলবাড়িহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘ। তার আক্রমণে ৮ গ্রামবাসী ও এক বনকর্মী জখম হন। জখমদের মধ্যে ২ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাত জন।
গত তিন দিন ধরে এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আজ চিতাবাঘটি ধরা পড়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সকলে। তবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজিৎ দে বলছেন, যে চিতাবাঘটি এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে, সেটাই যে ধরা পড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সেজন্য এলাকায় নজরদারি চালানো হবে। এলাকায় থাকবেন বনকর্মীরা। ফলে গ্রামবাসীরা ফের এলাকায় চিতাবাঘের দেখা পেলেই তৎক্ষণাৎ তা জানাতে পারবেন বনকর্মীদের। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে, তার বয়স বছর দুয়েক হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, ঘন ঘন চিতাবাঘ ও হাতি লোকালয়ে হামলা চালানোয় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের দাবি, জঙ্গলে খাবার অভাব দেখা দিয়েছে। সেজন্য লোকালয়ে চলে আসছে হাতি ও চিতাবাঘ। যদিও তা মানতে নারাজ বনকর্মীরা।