আলিপুরদুয়ার: ঘর থেকে বাচ্চাটার কান্নার আওয়াজ প্রত্যেকদিনই শুনতে পান প্রতিবেশীরা। গলা শোনা যায় তার মায়েরও। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে অদ্ভূতভাবে ঘরের ভিতর ছিল পিনপতন স্তব্ধতা। সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির পিছনের জানলা দিয়ে উঁকি দিয়েছিলেন বৌদি। দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে সাত মাসের শিশুটার শরীর। নড়ছে না। আর গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে তার মা। ভয়ঙ্কর ঘটনা আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া চেকপোস্ট সংলগ্ন দুর্গানগর এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। মৃতের নাম পুনম ছেত্রী।
২০১৭ সালে পুনম ছেত্রীর সঙ্গে সামরিক বিভাগে কর্মরত সঞ্জু ছেত্রীর বিয়ে হয়। বর্তমানে সঞ্জু ছেত্রী অসমে কর্মরত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুনমকে অন্য়ান্য দিন ঘরের বাইরে কাজ করতে দেখা যায়। বাচ্চাটারও কান্নার শব্দ শোনা যায়। কিন্তু মঙ্গলবার পুনমকে ঘরের বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়েছিল। ভেবেছিলেন বাচ্চাটার শরীর খারাপ কিনা! কিন্তু তখনও বিপদ আঁচ করতে পারেননি তাঁরা। খোঁজ নিতেই অত্যুৎসাহী প্রতিবেশী ও পুনমের বৌদি ঘরের পিছনের জানলা দিয়ে উঁকি মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিছানায় পড়ে ছিল পুনমের ছোট্ট সাত মাসের শিশুর নিথর দেহ। পাশে পড়ে দুধের বোতল। আর সামনেই ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মা।
মৃতার এক আত্মীয় বলেন,”আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা ঘটল। মেয়েটা তো হাসিখুশিই থাকত। কী এমন হল, বোঝা কঠিন। বাচ্চাটার সঙ্গে এমনটা কীভাবে করল?”