Alipurduar: চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে নতুন মোড়, পরিষেবা বন্ধ চিকিৎসকদের! চাপে ‘অভিযুক্ত’ বিডিও

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 06, 2022 | 5:41 PM

Alipurduar: ডাক্তার সুবীর দাস নাক-কাব-গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। আলিপুরদুযার জেলা হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। তাঁকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে কালচিনির বিডিও-র বিরুদ্ধে।

Alipurduar: চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে নতুন মোড়, পরিষেবা বন্ধ চিকিৎসকদের! চাপে ‘অভিযুক্ত’ বিডিও

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে নতুন মোড়। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক (Doctor) সুবীর দাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিডিও-র (BDO) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বিডিও-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়েরও হয়েছে। তারপরেই আলিপুরদুয়ারের চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আলিপুরদুয়ারে প্রাইভেট প্র‍্যাকটিস বন্ধ করেছেন চিকিৎসকরা। এদিকে চিকিৎসকদের এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাপক ভোগান্তি শুরু হয়েছে রোগীদের। বুধবার সকাল দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা ডাক্তারদের চেম্বারে এসেও ফিরে যাচ্ছেন। কবে থেকে ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না কেউই। 

এদিকে এ প্রসঙ্গে  আইএমএ আলিপুরদুয়ার শাখার সভাপতি ডাক্তার সজল ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগের এফআইআর কপি এখনও পাওয়া যায়নি। না পাওয়া পর্যন্ত প্রাইভেট প্র‍্যাকটিস বন্ধ থাকবে। এমন কী আমরা কোনও নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্যও যাবনা।” সূত্রের খবর, রবিবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর চেকপোস্টে চিকিৎসক সুবীর দাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কালচিনির বিডিও(BDO) প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে। এ ব্যাপারে গতকালই জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেন চিকিৎসকদের একটি দল। তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছিলেন জেলাশাসক। 

ডাক্তার সুবীর দাস নাক-কাব-গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। আলিপুরদুযার জেলা হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। বাড়ি আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগরে থাকেন তিনি। তাঁর দাবি, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি রোগী দেখে নিজস্ব গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তিন জন সহয়ক। রাস্তাতেই একটি নীল রঙের গাড়ি এসে তাঁদের পথ আটকায়। কালচিনির বিডিও(BDO) প্রশান্ত বর্মন ও এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও বিডিওর দাবি, আসলে মদ্যপ অবস্থায় ফিরছিলেন ওই চিকিৎসক। ড্রাইভারও ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তারপরেই তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী এ ঘটনার কিছু ভিডিয়োও বাইরে আনেন তিনি। যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। তবে তা নিয়েও নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের জেরে আরও ঘোলা হচ্ছে জল। এর মধ্যেই এবার ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

Next Article