আলিপুরদুয়ার: বিজেপির নবান্ন অভিযানের জন্য সাধারণ ট্রেনযাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য আগেভাগে পদক্ষেপ করেছে পদ্ম শিবির। গোটা ট্রেন ভাড়া করে নেওয়া হয়েছে। সেই ট্রেনগুলিতে চেপে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বিজেপির দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা পৌঁছে যাবেন কলকাতায়। সেই মতো আলিপুরদুয়ার থেকেও এদিন বিকেলে বিজেপির নবান্ন অভিযানের জন্য রওনা দেয় একটি ট্রেন। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। বিজেপির অভিযোগ, স্টেশন থেকে তাঁদের দলীয় কর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসে যখন ট্রেনটি থামে, তখন সেখানে বিজেপির দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ট্রেনে উঠতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এদিকে ওই ঘটনার জেরে স্টেশনে পৌঁছে যান আরপিএফ-এর ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার ডি বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন স্টেশন চত্বরেই ছিলেন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। আরপিএফ আধিকারিক আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকর্মীদের স্টেশন থেকে বাইরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকর্মীদের বুঝিয়ে বলেন, গোটা ট্রেন বুক করে যাওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা রেলের কাস্টমার, তাই তাঁদের সঙ্গে যাতে এমন না করা হয়, সেই অনুরোধ করেন তিনি।
আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকর্মীদের তিনি বলেন, “আপনারা যেমন কাজ করছেন, আমরাও তেমন কাজ করছি। যাত্রীরা আমাদের কাস্টমার। আপনারা তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যেতে পারেন না। আপনাদের যা করার, প্লাটফর্মের বাইরে গিয়ে করুন।”
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জানিয়েছেন, নবান্ন অভিযানের অনুমতি নেই, সেই কারণে অভিযানে অংশ নিতে যাওয়া কর্মীদের আটক করে পুলিশ। এর পাশাপাশি সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল বলেও জানান থানার আইসি। কিন্তু কেন পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল, সেই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, রেল পুলিশ রিকুইজিশন দিয়েছিল পুলিশের থেকে সাহায্য চেয়ে, সেই কারণে স্টেশনে পুলিশ গিয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে আরপিএফ-এর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।