আলিপুরদুয়ার: লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ছাড়লেন তাঁর দীর্ঘদিনের সৈনিক জহর মজুমদার। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গী ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জহরা দা বলেই সম্বোধন করতেন বরাবর। শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সেই নেতাই এবার দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সরকারকে অবিলম্বে উৎখাত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “অনেক ভেবে দেখলাম। কিন্তু আর সময় নেই। শেষ পর্যন্ত প্রায়শ্চিত্ত করার প্রয়োজন মনে হল।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক জহর মজুমদার। জহর বাবু এর আগে দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। ছিলেন কোর কমিটিতেও। শুধু তাই নয়, শৃঙ্গলারক্ষা কমিটির প্রধানও ছিলেন দীর্ঘদিন। তবে দলের সাম্প্রতিক অবস্থা তাঁকে ব্যাথিত করেছে বলে দাবি করেছেন জহর সরকার। তিনি বলেন, “চোর ধরতে গিয়ে আমরা ডাকাত ধরে নিয়ে এসেছি। ফ্যাসিজম বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের অবিলম্বে পতন ঘটাতে হবে।” তাঁর কথায়, এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই।
দলের ষাট শতাংশ কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন বলেও দাবি করেছেন জহর সরকার। নতুন কোনও দলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেননি তিনি। একই সঙ্গে দলের সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জহর বাবু। তিনি বলেন, “বালুর কথা ভেবে খারাপ লাগে। আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। বালুর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভাল ছেলে। কিন্তু এখন ও কোথায় চলে গেল। দলের সিস্টেম আসলে এই পর্যায়ে চলে গিয়েছে।”
এ ব্যাপারে তৃনমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “এখনও কোনও চিঠি পাইনি। ওঁর সঙ্গে কথা বলব এবং বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।”