আলিপুরদুয়ার: সিকিম বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে জওয়ান বিমল ওঁরাওয়ের। তাঁর দেহ মধু চা বাগানের বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগানের জওয়ান বিমল ওঁরাও মাস তিনেক আগে লাদাঘ থেকে বদলি হয়ে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কাজে যোগ দেন। কয়েকদিন আগে বিন্নাগুড়ি থেকে তাঁকে সিকিমে পাঠানো হয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী জওয়ান বিমল ওঁরাওয়ের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ ডুয়ার্সের মধু চাবাগান।
ভাই কমলও সিআরপিএফ। ঘটনার পর তিনিই একমাত্র জানতেন দাদার মৃত্যুর খবর। ছেলের সুস্থতা কামনায় বৃহস্পতিবার সকালেও স্ত্রী তনুজা, মা বৈন্ধন ও বাবা মাঙ্গরা স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন। পরে সিআরপিএফ কর্মী কমল পরিবারের সকলের কাছে আসল সত্য়িটা বলে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় যুবক রাজ বড়াইক বলেন, “এভাবে বিপর্যয়ে বিমলের মৃত্যু হবে আমরা ভাবিনি। বিমল সবসময়েই স্থানীয় যুবকদের সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিতেন।”
বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর দেহ বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে এসে পৌঁছয়। দুপুরে তাঁর দেহ মধু চাবাগানে নিয়ে আসবে সেনাবাহিনী। বিমল নীথর দেহ বাড়িতে আসবে। একেই পরিবারের সদস্যরা এখনও বুঝতে পারেননি বিমল আর নেই। শোকে নিথর পরিবারের লোকজনও। এদিন মধু চাবাগানে হাজির হয়েছেন বহু মানুষ।