AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC MLA : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপার, বিধায়ককে কাছে পেয়ে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি

TMC MLA : সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সমস্যার কথা জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতে, জেলাপরিষদে। কিন্তু, এখনও হয়নি কোনও সমাধান।

TMC MLA : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপার, বিধায়ককে কাছে পেয়ে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 10:36 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: দিদির সুরাক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (TMC MLA)। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের উপস্থিতিতেই ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি স্থানীয় গ্রামবাসীদের। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর জিৎপুর বিবেকানন্দ পল্লীতে যান সুমনবাবু। তাঁকে দেখা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভ কী নিয়ে? এলাকাবাসীদের দাবি, তাঁদের গ্রামের মধ্যে থাকা বাঁশের সেতুর অবস্থা খুব খারাপ। এদিকে যাতায়াতের জন্য এই সেতুর উপরই নির্ভর করতে হয় গ্রামের একটা বড় অংশের মানুষকে। পাশাপশি সমস্যা রয়েছে বিদ্যুৎ নিয়েও। 

সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সমস্যার কথা জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতে, জেলাপরিষদে। কিন্তু, এখনও হয়নি কোনও সমাধান। এদিন বিধায়ককে দেখা মাত্রই এই সমস্যার কথা জানাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের স্পষ্ট দাবি, স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই নানা প্রয়োজনে রোজই যেতে হয় এই বাঁশের সেতু দিয়ে। কিন্তু, সেতুটির অবস্থা একদমই ভাল নয়। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। সে কারণেই এই পাকা সেতুর দাবি করছেন তাঁরা। যদি শীঘ্রই সেতু পাকা না হয় তাহলে পঞ্চায়েত নির্বচনে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

বিক্ষোভের মুখে পড়ে গ্রামবাসীদের আশ্বস্তও করেন বিধায়ক। জানান, শীঘ্রই পাকা সেতু করা হবে গ্রামে। তবে যতক্ষণ না তা হচ্ছে তার আগে বেহাল সেতুর সংস্কারও করা হবে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে শুধু বিদ্যুত বা সেতু নয়, বিধায়ককে কাছে পেয়ে গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগও তোলা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের নাম লিখতে পারে না। তা সত্বেও শিক্ষকরা স্কুলে সঠিকভাবে ক্লাস নিচ্ছেন না। এই অভিযোগ শোনা মাত্রই  বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল  শিক্ষক নেতা রত্নদ্বীপ ভট্টাচার্য এবং অনিমেষ বরন পাল-সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে সেই প্রাথমিক  স্কুলে গিয়ে উপস্থিত হন। কথা বলেন শিক্ষকদের সঙ্গে।