TMC: ‘প্রয়োজনে গণইস্তফা দেব আমরা’, তৃণমূলের যুব অঞ্চল সভাপতি নিয়ে জোর কোন্দল দলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 08, 2023 | 5:55 PM

Alipurduar: এলাকার যুব নেতাদের একাংশের কথায়, বাপি দলে সক্রিয় কর্মী নন। তাই তাঁকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

TMC: প্রয়োজনে গণইস্তফা দেব আমরা, তৃণমূলের যুব অঞ্চল সভাপতি নিয়ে জোর কোন্দল দলে

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা আলিপুরদুয়ারে। যুব অঞ্চল সভাপতি মনোনয়নকে সামনে রেখে শনিবার থেকে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি সামনে এসেছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ১ নম্বর ব্লকের পররপার গ্রামপঞ্চায়েতে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে। শনিবার রাতে এই কমিটির কথা জানানো হয় দলের তরফে। অভিযোগ, এই তালিকায় বাপি দাস নামে একজনকে যুব অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে। যা দলেরই একাংশ মানতে নারাজ। এলাকার যুব নেতাদের একাংশের কথায়, বাপি দলে সক্রিয় কর্মী নন। তাই তাঁকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার যুব নেতাদের একাংশ বিক্ষোভে সামিল হন রবিবার। অবিলম্বে যুব অঞ্চল সভাপতিকে সরানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। বাবুরহাট-১ ব্লকের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এদিন সোচ্চার হন দলেরই যুব নেতা কর্মীরা।

পররপার গ্রামপঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক শুভ্রদীপ দাসের কথায়, “শনিবার সন্ধ্যায় ১ নম্বর ব্লকে আমাদের জেলা সভাপতি রাজকমল ভকত একটা তালিকা প্রকাশ করেন। যুব কমিটির সেই তালিকায় সভাপতি হিসাবে যার নাম রয়েছে তাকে আমরা মানতে পারব না। যদি তেমন হয় আমরা তাহলে গণহারে ইস্তফা দেব। যুবর পদ থেকে ইস্তফা দেব। কবে দলে আমরা থাকছি। দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি না।”

আলিপুর-১ ব্লকের যুব সম্পাদক সজল দাসের কথায়, “আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের যুব কমিটি, অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে জেলা কমিটির অঙ্গুলিহেলনে কিছু অরাজনৈতিক লোকজন যুব কমিটিতে স্থান পায়। তা আমরা মানছি না। যোগ্য ব্যক্তি যারা, যাদের ডাকে মানুষ সাড়া দিয়ে ভোট দেন, যারা সবসময় মানুষের সঙ্গে থাকে তারা যদি জায়গা না পায় সেখানে তো দলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবেই। আমরা জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি, মাদার কমিটিকে সব জানিয়েছি। আজ অবস্থান বিক্ষোভ করছি। এই কমিটি বাতিল করতে হবে। না হলে আমরা গণইস্তফা দেব। ১ নম্বর ব্লকের যত যুব সকলেই পদ ছাড়ব।”

যদিও এ নিয়ে ব্লক সভাপতি পীযূষ রায় বলেন, “এগুলো হয়েই থাকে। কেউ কারও না পছন্দের হতেই পারেন। তবে এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। খুব তাড়াতাড়ি এটা মিটে যাবে। উপরমহলের নজরে সবই থাকে। আমাদের আলাদা করে কিছু জানাতে হয় না। আমাদের নেটওয়ার্ক সেভাবেই তৈরি করা আছে। এর সমাধান হয়ে যাবে বলেই আমি মনে করি।”

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, শাসকদলের তত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। এরা সকলেই চাইছে ক্ষমতা নিজের হাতে লাগতে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতটা এদের কাছে রোজগারের একটা জায়গা। মানুষের স্বার্থ এদের কাছে কিছু না। তাই এসব লড়াই চলছে।”

Next Article