আলিপুরদুয়ার: দেখে মনে হবে যেন কোনও পুকুর। আসলে ধুঁকতে থাকা নিকাশি ব্যবস্থার কারণে জল জমে এমন দুর্ভোগের ছবি দেখা যায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে। এখানে আবার চলে গরুর হাট। হাঁটু জলে দাঁড়িয়েই বিকিকিনি করতে হয় ব্যবসায়ীদের। কয়েক শো গরু নিয়ে হাটে আসেন তাঁরা। গরু, বাছুর, মোষ সমস্ত কিছুই থাকে। কিন্তু এই জমা জলের কারণে মার খাচ্ছে এই ব্যবসা বলেই অভিযোগ। জটেশ্বর একটি বর্ধিঞ্চু গ্রাম। পাকা রাস্তার ধারে বিরাট বাজার। প্রতি শনিবার এই বাজার বসে। পাশেই গরুর হাট। জটেশ্বরের পাশাপাশি বীরপাড়া, এথেলবাড়ি, ফালাকাটা থেকেও গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন।
কিন্তু সমস্যা একটাই, জমা জল। বর্ষা এলে দেখে মনে হবে কোনও নদীর মাঝে গরুর হাট। আসলে তা নয়। অভিযোগ, বন্ধ ড্রেন, নিকাশির হাল এতটাই খারাপ এভাবে জল জমে থাকে। ক্রেতা, বিক্রেতারা স্পষ্ট জানান, এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান কিছুই দেখেন না। এই দুর্ভোগ তাই ঘোচেও না। এত জল। সেই জলে দাঁড়িয়ে অবলা প্রাণিগুলো। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও এখানে প্রশ্নের মুখে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই হাটের জন্য টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও এই অবস্থা।
যদিও জটেশ্বর-২ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সমরেশ পালের বক্তব্য, জল যাতে বের হতে পারে তার জন্য ড্রেন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নোংরা ফেলে সেই ড্রেন বন্ধ করে ফেলেছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, এটা ব্যক্তিগত কারও জায়গায়। কাকে কে টাকা দেয় জানেন না তিনি। গ্রামপঞ্চায়েত কোনওরকম টাকা নেয় না বলেই জানান তিনি। তবে পঞ্চায়েতের আওতাধীন না হলেও তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। নিচু জায়গা, তার মধ্যে আটকানো ড্রেন। জলের উপরই দাঁড়িয়ে থাকে সারি বেধে গরুর পাল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খারাপ লাগে। কিন্তু উপায় নেই। অর্থের অভাবে এখানে গরু বিক্রি করতে আসে। যদিও এই জলের জন্য লোকে আসেও না কিনতে।