আলিপুরদুয়ার : মৃত ব্যক্তির দেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিল পরিবার। পথেই ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনে থাকা গাড়িতেই মৃত্যু হল স্ত্রী, পুত্র সহ তিনজনের। পুত্রবধূ ও নাতনির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আলিপুরদুয়ারের ঘটনা। মৃতদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর বাবার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময়েই এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ওই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় ছোট গাড়িতে থাকা সকলেই গুরুতর জখম হন। আহতদের কালচিনি পুলিশ ও হাসিমারা দমকল কর্মীরা উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সূর্যপদ পাল, তাঁর মা মিনতি পাল ও অধ্যাপকের বন্ধু দেবাশিস সাহা।
গুরুতর জখম অবস্থায় কোচবিহারে একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন অধ্যাপকের স্ত্রী পূর্ণিমা বালা পাল ও তাঁদের কন্যা অদিতি পাল। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত সূর্যপদ পালের ভাই জানিয়েছেন, বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাবা। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর। সেই সময় সূর্যপদ পাল কোনও কাজে আলিপুরদুয়ারে ছিলেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে শিলিগুড়ি ছুটে যান তিনি। সেখানেই ছিলেন তাঁর মা ও স্ত্রী। এরপর বাবার দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে তাঁরা বাড়ির দিকে রওনা হন।
অ্যাম্বুল্যান্স এগিয়ে যায়, আর পিছনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকও প্রথমে কিছু জানতে পারেননি। বাড়ি পৌঁছতে আর খুব বেশি দেরিও ছিল না। কাছাকাছি গিয়ে অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। পরে ঘটনার কথা জানতে পারেন। ঘাতক ট্রাকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। চালক পলাতক।