আলিপুরদুয়ার: গভীর জঙ্গলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বুনো দাঁতাল। পায়ের সংক্রমণে একেবারে কাবু হয়ে পড়েছিল বিশালাকার ওই হাতি। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা গভীর জঙ্গলেই করল অস্ত্রোপচার। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রায়ডাক বনাঞ্চলের পর এবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিমের গভীর জঙ্গলে অসুস্থ দাঁতালের দেখা মেলে। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। বনকর্মীরা টহল দেওয়ার সময় তাকে দেখে। পায়ে গভীর ক্ষত। পুরুষ দাঁতালটির বয়স ৩০-৩৫ বছর বয়স হবে।
এরপরই বনদফতরের চিকিৎসকদের একটি দল তার চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়। শনিবার ২৩তম পিজি টাওয়ারের কাছে তার চিকিৎসা শুরুও হয়। বুনো দাঁতালটির ডান দিকে সামনের পায়ের নিচের অংশে ক্ষত আছে। পায়ের নখ ক্ষয়ে যাওয়ায় সংক্রমণ হয়েছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের চিকিৎসকদের ট্রানকুলাইজার টিম দাঁতালটিকে শান্ত করে তার পায়ের ক্ষত পরিষ্কার করে। এরপর ড্রেসিংও করা হয়। বনদফতরের তরফে খবর, এবার অ্যান্টি বায়োটিক চালু হবে দাঁতালের। টানা অনেকটা সময় ধরেই সেই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। সঙ্গে অন্যান্য ওষুধও দিতে হবে।
এদিন একটা অস্ত্রোপচারও হয় তার। প্রায় ঘণ্টাখানেক তা চলে। আপাতত পুরোপুরি জ্ঞান ফিরেছে দাঁতালের। ঠিক আছে তার শরীর। বুনো দাঁতালকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে বনাধিকারীরা জানিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা পারভিন কাশোয়ান বলেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গভীর জঙ্গলের মধ্যেই বুনো হাতির চিকিৎসা করা হল। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি দাঁতালটি সুস্থ হয়ে উঠবে।”