মুর্শিদাবাদ : ভারতে এসে মুর্শিদাবাদে ঝটিকা সফরে এলেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ সাহারিয়ার আলম। কান্দি রাজ কলেজে সফর সারলেন তিনি। দেখা করলেন উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানধিকারী কান্দির কৃতি ছাত্রী রুমানা সুলতানার সঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বাংলাদেশ থেকে সড়ক পথেই কান্দিতে পৌঁছান।
আগামী ১১ ডিসেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানধিকারী কান্দির কৃতি ছাত্রী রুমানার সঙ্গে দেখা করতে বাবাকে নিয়ে কান্দি সফরে আসেন তিনি। কান্দি কলেজে দীর্ঘ সময় কাটান তাঁরা। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারত বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে একাধিক কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো। তাঁর কথায়, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ইস্যু থাকবেই, সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করব। তিনি মনে করেন, ভারত ও বাংলাদেশের একই শত্রু আছে, যার নাম দারিদ্র্য। তা দূর করতে দুই দেশই সর্বোতভাবে চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে আরও যাতায়াতের ব্যবস্থা আরও ভালো করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর বাবা কান্দি জেমো এন এন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবাকে নিয়েই এ দিন রুমানার বাড়িতে যান মহম্মদ সাহারিয়ার আলম। তাঁর জন্য মিষ্টি ও উপহার নিয়ে যান।
৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। ২০১৯ সালে রোমানা মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে একমাত্র প্রথম ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রুমানা। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার পর সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষাতেও তাক লাগিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট (NEET) ইউজি পরীক্ষায় সুলতানার স্থান ১,০৫৭ । তাঁর স্কোর ৯৯.৯২ শতাংশ। মেয়ের এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবে খুশির হাওয়া পরিবারে। খুশি তাঁর শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন : Cycle Factory in Bengal: রাজ্যে তৈরি হবে সাইকেল কারখানা, মন্ত্রিসভায় মিলল অনুমোদন