বাঁকুড়া: হাতে গোনা আর দু’দিন। আর তারপরই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। যার জেরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। আর একুশে জুলাইয়ের আগেই বাঁকুড়ার পদ্ম শিবিরে বড় ধাক্কা। প্রায় ১০৩ পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দিল তৃণমূলে।
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার একটি গ্রামের অধিকাংশ পরিবার রবিবার পদ্ম শিবির ছেড়ে হাতে তুলে নিল ঘাসফুলের পতাকা। বিজেপির স্থানীয় বিধায়কের ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই দলবদল দাবী গ্রামবাসীর। বিজেপির দাবি, গোটা ঘটনাটি আসলে তৃণমূলের নাটক ।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের আইলঠ্যা গ্রামে ১৬৩ টি পরিবারের বসবাস। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এই গ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক লিড পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ওই গ্রামের একটি বড় অংশ পদ্ম শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। গতকাল আইলঠ্যা গ্রামে আয়োজিত তৃণমূলের ২১ শে জুলাই এর প্রস্তুতি সভায় গ্রামের ১০৩ টি পরিবারের সদস্যরা বিজেপি ছেড়ে কাঁধে তুলে নেন তৃণমূলের পতাকা।
দলবদল করা বিজেপি কর্মীদের দাবি বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু ওন্দা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী অমরনাথ শাখা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আর এই গ্রামের কথা মনে রাখেননি। গ্রামের সমস্যার কথা বারেবারে বিজেপি বিধায়ককে জানানো হলেও তিনি সমস্যাগুলি সমাধানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ দিকে, ২১ শে জুলাই এর সমাবেশের আগে ওন্দা বিধানসভা এলাকায় পদ্ম শিবিরকে জোর ধাক্কা দিতে পেরে স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসের সুর তৃণমূল শিবিরে । বাঁকুড়া দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা সকলকে দলে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। অপরদিকে, ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দাবী ২১ শে জুলাই এর আগে তৃণমূলের লোকেদেরই ফের তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে যোগদানের নাটক করেছে ঘাসফুল শিবির।