Bankura: আলু চাষের আগেই বড় বিপত্তি, মাথায় হাত কৃষকদের, নাড়া পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ বিঘা জমির পাকা ধান

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 07, 2024 | 9:55 AM

Bankura: জমি থেকে ধান ওঠার পর পরবর্তী মরসুমে আলু চাষের জন্য দ্রুত জমি তৈরির উদ্দেশ্যে জমিতে পড়ে থাকা ধান গাছের অবশিষ্ঠাংশ বা নাড়ায় আগুন লাগিয়ে দেন অনেক কৃষকই। একই কাজ করেছিলেন সিহাসের ওই কৃষকও।

Bankura: আলু চাষের আগেই বড় বিপত্তি, মাথায় হাত কৃষকদের, নাড়া পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ বিঘা জমির পাকা ধান
হাতাশ কৃষকেরা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

কোতুলপুর: জয়পুরের পর এবার কোতুলপুরে নাড়া পোড়ানোর সময় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় ৫ বিঘে জমির পাকা ধান। বাদশাভোগ প্রজাতির দামি পাকা ধান মাঠেই পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। কৃষি দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার প্রচারের পরেও বারবার একই ঘটনায় ঘটায় বাড়ছে উদ্বেগ। অনেকেই আবার প্রশাসনের নজরদারির অভাবকে কাঠগড়ায় তুলছেন।

দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের শুখজোড়া গ্রাম লাগোয়া জমিতে নাড়া পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী জমিতে গাদা করে রাখা ধানে। দাউদাউ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কয়েকবিঘে জমির গাদা করে রাখা ধান। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন এক কৃষক। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের সিহাস গ্রাম লাগোয়া জমিতে। 

জমি থেকে ধান ওঠার পর পরবর্তী মরসুমে আলু চাষের জন্য দ্রুত জমি তৈরির উদ্দেশ্যে জমিতে পড়ে থাকা ধান গাছের অবশিষ্ঠাংশ বা নাড়ায় আগুন লাগিয়ে দেন অনেক কৃষকই। একই কাজ করেছিলেন সিহাসের ওই কৃষকও। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে আশপাশের জমিতে। বাতাসের বেগ বেশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে। সেখানে আবার বাদশাভোগ প্রজাতির পাকা ধান এখনও কাটা হয়নি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় ৫ বিঘে জমিতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় হয়ে যায় বেশ দামি প্রজাতির ওই ধান।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার অন্যান্য কৃষকেরা। তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৃষি দফতরের আধিকারিকরাও। কিন্তু এত প্রচার এবং বারংবার দুর্ঘটনার পরেও কেন নাড়া পোড়ানো থেকে বিরত করা যাচ্ছে না কৃষকদের? স্থানীয়দের একাংশের দাবি চাষাবাদে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এবং সচেতনার অভাবেই প্রথাগতভাবে নাড়া পুড়িয়ে চলেছেন এক শ্রেণির কৃষক। এজন্য কৃষি দফতরের নজরদারির অভাবকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।

Next Article