বাঁকুড়া: দলীয় সভা শেষ। প্রধান বক্তা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সভামঞ্চ সেরে চলে যাচ্ছেন। সেই মুহূর্তে বাঁকুড়ার ওন্দায় সভামঞ্চে দর্শক আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অভিষেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক মহিলা। ভিড়ের মাঝেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। ছুটে আসেন অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা। মহিলা দাবি করতে থাকেন, তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে বলে দাবি করেন। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একান্তে তাঁকে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। ওন্দার রামসাগরের বাসিন্দা অভিযোগকারী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী দাবি করেন, তৃণমূলের ওন্দা ব্লকের প্রাক্তন সহ সভাপতি আশিস দে করোনাকালে তাঁর কাছ থেকে সিস্টার নিবেদিতা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর দাবি, তিনি একা নন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৭০ জন কর্মী করোনা কালে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলি করার কাজও করেছিলেন । পরবর্তীতে তাঁরা জানতে পারেন ওই সংস্থাটি ভুয়ো। প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর দাবি, তাঁর দেওয়া টাকার বিনিময়ে সেই সময় ৫০ হাজার টাকার রশিদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি টাকার কোনরকম রশিদ না দেওয়া হয়নি। দেওয়া টাকা ফেরতও পাননি। বারবার জানানোর পরও কাজ না হওয়ায় অভিযোগকারী ওন্দা থানার দারস্থ হন।
ওন্দা থানার পক্ষ থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ তো নেওয়া হয়ইনি। উল্টে মহিলার দাবি, ওই তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করতেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। গালিগালাজ ও মারধর করা হয় অভিযোগকারী এবং তাঁর স্বামীকে। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঞ্চে পেয়ে তাঁর কাছে অভিযুক্ত আশিস দে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর দাবি, “অবিলম্বে আশিস দে’র মতন নেতাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হোক, গ্রেফতার করা হোক।” গোটা বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কানে পৌঁছে দেওয়ায় খুশি ওই মহিলা।