AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbaha Hansda: শালবনিতে বীরবাহার উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলা বনধের ডাক আদিবাসীদের যৌথ মঞ্চের

Birbaha Hansda: “এটা জাতিগত আন্দোলন নয়। কারণ জাতের রাজনীতি এত বাজে-নোংরা হয় না। আমরাও জাতের রাজনীতি করেছি। আমরা কুড়মি সম্প্রদায়কে এখনও পর্যন্ত অসম্মান করিনি। যেটা হচ্ছে সেটা আসলে নোংরামির রাজনীতি।” কনভয়ে হামলার পর তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বীরবাহা।

Birbaha Hansda: শালবনিতে বীরবাহার উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলা বনধের ডাক আদিবাসীদের যৌথ মঞ্চের
ফোরাম থেকে বড় সিদ্ধান্ত
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 1:05 PM
Share

বাঁকুড়া: জঙ্গলমহলে কুড়মি আন্দোলনের (Kurmi Protest) প্রেক্ষাপটে এবার আদিবাসীরা যৌথ মঞ্চ তৈরি করে নিজেদের দাবি রক্ষার আন্দোলনকে আরও মজবুত করার ডাক দিল। তৈরি হল সম্মিলিত মঞ্চ। গতকাল বাঁকুড়ার রাঢ় অ্যাকাডেমিতে একটি কনভেনশনে মোট ১৪ টি আদিবাসী সংগঠন সম্মিলিতভাবে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল গঠন করে। এই ফোরামের তরফেই বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ওই ফোরাম আগামী ৮ জুন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে।

তপশিলি উপিজাতি তকমার দাবিতে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে কুড়মি সমাজ। দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এবার জঙ্গলমহলের আরেক বৃহত্তম জনগোষ্ঠী আদিবাসীরাও সংগঠিত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে পৃথক পৃথক ভাবে লড়াই চালিয়ে আসছিল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল,  ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজ,  কোড়া সমাজ, শবর ও মাহালি সমাজ, সারা ভারত সাঁওতাল একক সংগঠন সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। 

এই পরিস্থিতিতেই এবার নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবার ১৪ টি আদিবাসী সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে গঠন করল আদিবাসীদের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশানস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। যৌথ মঞ্চ গঠনের পরই বীরবাহা হাঁসদার উপর হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে এই মঞ্চের নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শালবনিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। কাচ ভাঙে মন্ত্র বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির। এদিকে এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল বীরবাহাকে। বলেছিলেন,  “এটা জাতিগত আন্দোলন নয়। কারণ জাতের রাজনীতি এত বাজে-নোংরা হয় না। আমরাও জাতের রাজনীতি করেছি। আমরা কুড়মি সম্প্রদায়কে এখনও পর্যন্ত অসম্মান করিনি। যেটা হচ্ছে সেটা আসলে নোংরামির রাজনীতি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করব। এর জবাব আমরা চাইব। কুড়মি সম্প্রদায়ের কোনও নেতাকে ছাড়ব না।” এরমধ্যে এ ঘটনায় এবার বনধের ডাক দেওয়ায় তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।