বাঁকুড়া: ২০১০ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু, প্যানেল প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। তারপর প্রায় দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে ফের মিলেছে পরীক্ষায় বসার ডাক। এতদিনে বয়স পেরিয়ে গিয়েছে অনেকেরই। পড়াশোনার সঙ্গে যোগাযোগও নেই অনেকের। তবু চাকরি পাওয়ার আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্যে এদিন অনেকেই অ্যাডমিট হাতে হাজির হলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
২০১০ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে পরীক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সে সময় পরীক্ষাও নেয় কমিশন। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে সে সময় প্যনেল প্রকাশ হয়নি। এরপর একাধিকবার আদালত নির্দেশ দিলেও নিয়োগের কোনও উদ্যোগ নেয়নি কমিশন। নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছিল এমনটাই। সম্প্রতি ফের আদালত ওই শূন্যপদগুলিতে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। আবেদনকারীদের যারা ২০১০ সালে প্রথমবার এই পরীক্ষায় বসেছিলেন তখনও অনেকেই পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, দীর্ঘ টানাপোড়েনে প্যনেল প্রকাশ আর হয়নি। হয়নি নিয়োগ।
ওই নিয়োগের জন্য আবেদন বা ২০১০ সালে পরীক্ষায় বসার কথাও বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন অধিকাংশ চাকরীপ্রার্থী। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ আবেদনকারীর চাকরি পাওয়ার বয়সও পেরিয়ে গিয়েছে। হতাশ হয়ে অনেকেই বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। আচমকাই কিছুদিন আগে ফের পরীক্ষার জন্য ডাকযোগে অ্যাডমিট এসে পৌঁছায় চাকরীপ্রার্থীদের হাতে। প্রায় ১৪ বছর পর এডমিট আসায় কিছুটা অবাকও হয়েছিলেন অনেকে। অনেকেই বলছেন, ভাবতেই পারিনি এমনটা হওয়া সম্ভব! তারপরেও আশা-নিরাশার দোলাচল নিয়ে এদিন অনেক চাকরীপ্রার্থী এলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। এক চাকরিপ্রার্থী বললেন, “সে তো ২০১০ সালের কথা। তারপর তো আর কোনও আশাই রাখিনি। এখন আচমকা অ্যাডমিট কার্ড এল। দিচ্ছি পরীক্ষা। দেখা যাক কী হয়!”