বাঁকুড়া: বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই আতসবাজি পুড়িয়ে, মিষ্টিমুখ করালেন আরেক পদ্ম-বিধায়ক। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বৃহস্পতিবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর যোগদানের পর শুক্রবারই সোনামুখীতে বাজি পুড়িয়ে সকলকে মিষ্টি খাওয়ালেন এলাকার বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। সোনামুখীর কুরুমপুরে কার্যত উদযাপন চলে এদিন। যদিও পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ, আরও বেশি করে মিষ্টি কিনে রাখুক বিজেপি। সামনে আরও বিধায়ক দল ছাড়বেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হরকালী প্রতিহার। কলকাতায় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে এই যোগদান পর্ব সারেন তিনি। পরে হরকালী বলেন, বিজেপিতে থেকে কোনও কাজ করা যায় না। তিনি কোনও উন্নয়ন করতে পারছিলেন না। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে। এখানকার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। হরকালীর তৃণমূল যোগ প্রসঙ্গে সৌমিত্রও বলেছিলেন, এই দলত্যাগে কিছুই যাবে আসবে না। একই সুর দলের অন্যান্য বিধায়কদের গলাতেও। আর এদিন সকাল থেকে তো রীতিমতো আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়েছে এলাকায়।
দিবাকর ঘরামির বাড়ি সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন গ্রামপঞ্চায়েতের কুরুমপুরে। সেখানেই এদিন বাজি পুড়িয়ে কর্মীদের মিষ্টিমুখ করান তিনি। তাঁর দাবি, হরকালী প্রতিহার অত্যন্ত স্বার্থপর। তাঁর জন্য তৃণমূলই যথাযথ জায়গা। বিধায়কের দলত্যাগে ২০২৪-এর ফল আরও ভাল হবে বলেও মন্তব্য করেন দিবাকর। পাল্টা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মণ্ডল বলেন, “সোনামুখীর বিধায়ক বেশি করে মিষ্টি নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। তৃণমূল দরজা খুলে দিলে বিজেপির বহু বিধায়কই চলে আসবেন।”