বাঁকুড়া: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতেই কোমর বেঁধে জনসংযোগে নেমে পড়লেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কতটা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন সে ব্যাপারে খোঁজ নেন তিনি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নেতা। তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের কটাক্ষ, এত দিন কাটমানি খেতে ব্যস্ত ছিল, এখন মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
গত ৩১ মে ও ১ জুন বাঁকুড়ায় ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মে প্রশাসনিক বৈঠকে একেবারে নাম ধরে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জুন কর্মী সম্মেলনে, কর্মীদের উজ্জীবিত করেন মমতা। বলেন, “দিদি যদি হেরে গিয়ে ঘর থেকে বেরতে পারে, আপনারা কেন পারবেন না। মানুষের কাছে যান। মানুষের হয়ে কাজ করুন। গরিবদের পাশে থাকুন। আদিবাসীদের পাশে থাকুন। দুয়ারে সরকারের কাজ করুন। পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ করুন।”
মুখ্যমন্ত্রী এই কথার পরই মানুষের দুয়ারে ঘুরতে দেখা গেল বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে ফিরে যেতেই নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের সানাবাঁধ গ্রামে গিয়ে জন সংযোগ সারেন তিনি। গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন তিনি। গ্রামবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বিজেপি অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শিবাজির কাজকে। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “তৃণমূল নেতারা এত দিন কাটমানি গুনতে ব্যস্ত ছিলেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন চলে আসায় মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জন সংযোগে নেমেছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।“