Bankura: SSKM-এর ডাক্তার হয়েও বিক্রি করেন দুধ! সিঁদুর দানের ঠিক আগেই নার্স-পাত্রীও নিলেন বড় সিদ্ধান্ত

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 03, 2024 | 4:01 PM

Bankura: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বসে বিয়ের আসর। বরযাত্রী এসে পৌঁছয় জয়পুরে পাত্রীর বাড়িতে। বরযাত্রীকে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করে বিয়ের আসর বসে। পুরোহিত বিয়ের মন্ত্র পড়তে শুরু করেন। কিন্তু সিঁদুর দানের ঠিক আগেই এক বরযাত্রী কনেপক্ষের এক আত্মীয়ের কাছে ফাঁস করে ফেলেন বরের আসল পরিচয়। বর চিকিৎসক নন, তিনি দুধ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত।

Bankura: SSKM-এর ডাক্তার হয়েও বিক্রি করেন দুধ! সিঁদুর দানের ঠিক আগেই নার্স-পাত্রীও নিলেন বড় সিদ্ধান্ত
বিয়েবাড়িতে পড়ল শোরগোল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া:  বাড়িতে ঠাসা আত্নীয়দের ভিড়। সানাইয়ের সুরে বৈশাখী সন্ধ্যার আবহই অন্য। ছাদনাতলায় পান পাতা মুখে পাত্রী, আর সামনে দাঁড়িয়ে ‘ডাক্তার’  পাত্র। আত্মীয়দের মধ্যে হাসিঠাট্টা-কথাবার্তা চলছে। তার মধ্যেই ছন্দপতন! হঠাৎ পাত্রীর কানে কানে কিছু একটা বলে গেলেন এক আত্মীয়। পান পাতা মুখ থেকে নামিয়ে সটান উঠে দাঁড়ান পাত্রী। সিঁদুর দানের ঠিক আগেই খুলে ফেলেন ডাক্তার পাত্রের আসল মুখোস! বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দারা এক বিবাহ-বাসরের নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী।

এসএসকেএম-এর চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যমেই এক নার্সের সঙ্গে আলাপ জমান। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নার্সকে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। দুই পরিবারের সম্মতিতে সম্পর্ক গড়ায় বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সিঁদুরদানের আগে পাত্রের আসল পরিচয় পেতেই বেঁকে বসলেন পাত্রী। ফাঁস হয় মুর্শিদাবাদের যুবকের পর্দা। পাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন ‘গুণধর শ্রীমান’ পাত্র। ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুরের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাপি চাঁদপাড়ি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুনী কল্যাণী এইমসে নার্স হিসাবে চাকরি করেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ হয় মুর্শিদাবাদের খড়বাড়ি গ্রামের বাপি চাঁদপাড়ির। সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে এসএসকেএম-এর চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমান ওই যুবক। আলাপ ধীরে ধীরে প্রেমের রূপ নেয়। এরপর সরল বিশ্বাসে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বসে বিয়ের আসর। বরযাত্রী এসে পৌঁছয় জয়পুরে পাত্রীর বাড়িতে। বরযাত্রীকে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করে বিয়ের আসর বসে। পুরোহিত বিয়ের মন্ত্র পড়তে শুরু করেন। কিন্তু সিঁদুর দানের ঠিক আগেই এক বরযাত্রী কনেপক্ষের এক আত্মীয়ের কাছে ফাঁস করে ফেলেন বরের আসল পরিচয়। বর চিকিৎসক নন, তিনি দুধ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। আর তা জানার পরই বিয়েতে বেঁকে বসে পাত্রী। বর-সহ পাত্রপক্ষকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানায়। জয়পুর থানার পুলিশ বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বরকে গ্রেফতার করে জয়পুর থানায় নিয়ে যায়। আজ গুণধর বরকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে জয়পুর থানার পুলিশ। প্রতারক বরের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে পাত্রীর পরিবার।

Next Article