Bankura: ‘ছেলের মতো করে বড় করেছি…’, ভাবতে পারেন এই মহিলাদেরও লক্ষ টাকার সম্পত্তি গায়েব! ভিড়মি খেল পঞ্চায়েত

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 30, 2024 | 10:26 AM

Bankura: গাছ চুরির পরেও নির্বিকার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Bankura: ছেলের মতো করে বড় করেছি..., ভাবতে পারেন এই মহিলাদেরও লক্ষ টাকার সম্পত্তি গায়েব! ভিড়মি খেল পঞ্চায়েত
লক্ষ টাকার 'সম্পত্তি' গায়েব
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া:  বছর আটেক আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সরকারি জায়গায় লাগানো হয়েছিল হাজার দেড়েক গাছ। গাছ লাগানো থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল স্থানীয় ৩ টি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের ওপর। কথা ছিল গাছ কাটা হলে লাভের একাংশ পাবেন তাঁরা। অভিযোগ, রাতারাতি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ লক্ষ টাকার সেই গাছ গায়েব হয়ে গিয়েছে। কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছে গাছ জানেই না গ্রাম পঞ্চায়েত। এমনকি গাছ চুরির পরেও নির্বিকার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পরিচালিত। আজ থেকে ৮ বছর আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে এই পঞ্চায়েত স্থানীয় হরিণাবাদা গ্রামের মনসামাতা, নেতাজি ও কালীভবানী নামের তিনটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে দাঁতিনা গ্রাম লাগোয়া ধোরসমুদ্রা নামের একটি পুকুরের পাড়ে সরকারি খাস জায়গায় হাজার দেড়েক গাছ লাগায়। বড় না হওয়া পর্যন্ত গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণের সব দায়িত্বই সামলেছেন ওই ৩ গোষ্ঠীর ৪৫ জন সদস্যা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গাছগুলি বিক্রির সময় লভ্যাংশ দেওয়া হবে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। কিন্তু মাস খানেক আগে হরিণাবাদা গ্রামে স্থানীয় একটি উৎসবে যখন গোষ্ঠীর মহিলারা সকলে ব্যস্ত সেই সময় কেউ বা কারা রাতারাতি জঙ্গল সাবাড় করে ফেলেন বলে অভিযোগ। ঘটনা নজরে আসার পর প্রাপ্য লভ্যাংশের দাবিতে স্থানীয় মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হাজির হন গোষ্ঠীর মহিলারা।

সেসময় গাছ কাটার বিষয়টি তাঁদের জানাই নেই বলে দায় এড়ায় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন গোষ্ঠীর মহিলারা। ক্ষুব্ধ মহিলাদের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েতের মদতেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে ওই লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ। অবিলম্বে প্রাপ্য লভ্যাংশ না পেলে আগামীদিনে পঞ্চায়েত অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা বললেন, “ঝড় জল মাথায় নিয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে ছুটতাম। গাছগুলোকে ছোট থেকে বড় করলাম। নিজের ছেলের মতো করে যত্ন করেছি। তারপরও কীভাবে ওরা এমনটা করতে পারল। পঞ্চায়েতের মদত ছাড়া এটা কী করে সম্ভব।”

স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে গোষ্ঠী গাছ লাগায়, সেই গোষ্ঠী একটা পার্সেন্টেজ পায়। কখন গাছ লাগায়, কখন রাতে কেটে বিক্রি হয়ে যায়, সবাই বলবে জানি না, এটা ছোটো ঘটনা। আসলে দলটাই চোরের।”  যদিও মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান দেবীদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গাছ কাটা হয়েছে, এসব ব্যাপারে আমি কিচ্ছু জানি না। গোষ্ঠীরা এসেছিল, রেভিনিউ পায়নি বলে এসেছিল। থানায় এফআইআর করব। আমরা এর থেকে বেশি কিছু করতে পারব না। গোষ্ঠীর মেয়েরা এখনও পর্যন্ত কারোর নাম বলতে পারেনি।”

Next Article