বাঁকুড়া: বাড়িতে বলেছিলেন, কাজে যাচ্ছেন। সন্ধ্যায় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফেরেননি বাড়ি। অবশেষে দুদিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ যুবকের দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার ইদগামহল্লার এলাকায়। মৃত যুবকের নাম ধীরেন দাস (৪২)। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ধীরেনকে। কিন্তু কেন, কী কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন ধীরেন, সে বিষয়ে কোনও ক্লু দিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধীরেন গত শুক্রবার বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তিনি কাজে যাচ্ছেন। গ্রামেই বাড়ির কাছে এলাকায় তিনি কাজে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর রাতেই ফিরে আসার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। সম্ভাব্য সমস্ত এলাকায় খোঁজ করেন তাঁরা। আত্মীয়দের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়। এরপর পরেরদিন সকালে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পুলিশও খোঁজ শুরু করে।
প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারাও খোঁজ করতে থাকেন আশেপাশের এলাকাগুলিতে। রবিবার সন্ধ্যায় ধীরেনের বাড়ির অদূরেই একটি পুকুরে একটা কিছু ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় কয়েকজন যুবক রাস্তার ধারে একটি দোকানে বসে গল্প করছিলেন। তখনই তাঁরা পুকুরে কিছু ভেসে থাকতে দেখেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা প্রতিবেশীদের ডাকেন। তারপর খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
ধীরেনকে শণাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে দেহটি দুদিন জলে পড়ে থাকায়, ফুলে উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে ধীরেনকে। কিন্তু কেন তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা বলতে পারছেন না তাঁরা। ধীরেন কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা, এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে কিনা নাকি কোনও পুরনো বিবাদ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধীরেন আদতে কী কাজ করতেন, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা দোকানেই বসে গল্প করছিলাম। অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে একটা কিছু ভেসে থাকতে দেখে। টর্চের আলো ফেলতে দেখি, একটা লাশ। তারপরই পুলিশে খবর দিই।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।