বাঁকুড়া: দলের পতাকা-সহ হাসপাতালের আউটডোরে প্রবেশ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। নির্বাচনের এই বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী হাসপাতালে পতাকা নিয়ে প্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা তিনি তোপ দেগেছেন খোদ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেই।
সোমবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় প্রচারে যান বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। স্থানীয় এলাকায় একটি চা চক্রে যোগ দেওয়ার পর অরূপ চক্রবর্তী দলের পতাকা সহকারে নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের আউটডোরের মধ্যেই চিকিৎসা করাতে আসা মানুষের মধ্যে তিনি প্রচার চালান বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার।
সুভাষ সরকারের কটাক্ষ, “তৃণমূল নেতাদের কখনই হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায় না। শুধুমাত্র সিবিআই বা ইডি তলব করলেই তাঁরা হাসপাতালে যান। কেন্দ্রের সরকার ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি করলেও তাতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করেনি রাজ্যের সরকার। আজ সেই হাসপাতালে গিয়েই নিজের জনসংযোগ সারলেন অরূপ চক্রবর্তী। দলীয় পতাকা নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে এই ধরনের প্রচারে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
দলীয় পতাকা নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করে অরূপ চক্রবর্তী পাল্টা একহাত নিয়েছেন সুভাষ সরকারকেই। তাঁর দাবি, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ঝাঁ চকচকে পরিকাঠামো গড়েছে রাজ্যের সরকার। সেই হাসপাতালে গিয়ে ৯ এপ্রিল সুভাষ সরকারই বড় বড় কথা বলেছেন।” নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া দলের পতাকা নিয়ে তিনি হাসপাতালে যাননি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।