বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলগুলি থেকে হাতির দলকে অবিলম্বে সরানোর দাবিতে বাঁকুড়ার বন দফতরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল সংগ্রামী গণমঞ্চ। বাঁকুড়া জেলার উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গল মিলিয়ে এখন হাতি রয়েছে ৭২ টি। এই হাতিগুলির হানায় একের পর এক মানুষের মৃত্যু ঘটছে। প্রতিদিন ঘটছে ফসলহানি। বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গল মিলিয়ে এখন হাতি রয়েছে ৭২ টি। বড়জোড়া রেঞ্জের সাহারজোড়ার জঙ্গলে ৩৫ টি, মনোহরের জঙ্গলে ১৪ টি, দক্ষিণ সরাগড়ার জঙ্গলে ১ টি, বড়জোড়ায় ২ টি,পাবয়ার জঙ্গলে ১৩ টি ছাড়াও বাঁকুড়ার উত্তর রেঞ্জ, বেলিয়াতোড় ও রাধানগর রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গল মিলিয়ে মোট ৭২ টি হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা।
চলতি বছর বাঁকুড়া জেলায় হাতির হানায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন হুলা পার্টির কর্মী-সহ বহু সাধারণ মানুষ। ঘরবাড়ি ও বিঘের পর বিঘে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির হানায়। হাতির দলকে অবিলম্বে সরানো না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে এই আশঙ্কায় সংগ্রামী গণমঞ্চ এবার আন্দোলনে নামল। সংগ্রামী গনমঞ্চের দাবি, মানুষের জীবন জীবিকা বাঁচানোর স্বার্থে হাতিগুলিকে দ্রুত সরানো না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগেও বনআধিকারিকদের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জের রাওতড়া গ্রামের বাসিন্দারা। বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর বিট এলাকায় বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট করেছে হাতির দল। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু বন আধিকারিকরা সে অর্থে কোনও সাহায্যই করেননি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই বিঘের পর বিঘে জমির আলুর জমি মাড়িয়ে দেয় হাতির দল। বন কর্মীদের টালবাহানায় ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে এই দাবি তুলে বন দফতরের আধিকারিকদের রাতভর আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।