Bankura Fraud Case: দিব্যি হেঁটে চলে বেরাচ্ছেন, কিন্তু খাতায় কলমে তিনিই নাকি মৃত! ‘সম্পত্তি হয়ে গেল তৃণমূল নেতার নামে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 19, 2022 | 10:50 AM

Bankura Fraud Case: বিশ্বনাথ পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ মান্নাকে মৃত হিসাবে দেখিয়ে তাঁর একমাত্র ওয়ারিশান হিসাবে শংসাপত্র বের করা হয়।

Bankura Fraud Case: দিব্যি হেঁটে চলে বেরাচ্ছেন, কিন্তু খাতায় কলমে তিনিই নাকি মৃত! সম্পত্তি হয়ে গেল তৃণমূল নেতার নামে
বাঁকুড়ায় প্রতারণার অভিযোগ

Follow Us

বাঁকুড়া: রাজ্য সরকারের প্রাক্তন কর্মী। একেবারে জলজ্যান্ত দিব্যি ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু তিনিই খাতায় কলমে মৃত। প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে মৃত সাজিয়ে ওয়ারিশন শংসাপত্র বের করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তাতে নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরায়। তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, প্রভাবশালী যোগ রয়েছে এর পিছনে, তা না হলে এত বড় প্রতারণা করা সম্ভব নয়।

বারোমাস্যা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মান্না রাজ্য সরকারের প্রাক্তন কর্মী। সম্প্রতি বিশ্বনাথ মান্না জানতে পারেন, তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি প্রথমে তাঁর ভাইঝির নামে হয়ে গিয়েছে। পরে তা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নামে হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে। প্রথমে বিষয়টি বুঝতেই পারেননি।

বিশ্বনাথ পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ মান্নাকে মৃত হিসাবে দেখিয়ে তাঁর একমাত্র ওয়ারিশান হিসাবে শংসাপত্র বের করা হয়। বিশ্বনাথ মান্নার ভাইঝি নমিতা পালের নামে। এই শংসাপত্রে তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে।

সেই ওয়ারিশান শংসাপত্রের ভিত্তিতে প্রথমে বিশ্বনাথ মান্নার জমির একাংশ নমিতা পালের নামে রেকর্ড হয়। পরে ওই জমি হস্তান্তর করা হয় বিজয় মান্না নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিজয় আবার এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বিজয় মান্নাই নিজে প্রভাব খাটিয়ে প্রথমে জমি নমিতা পালের নামে ও পরে নিজের নামে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনার পরই নিজের জমি ফেরত পেতে ও এই জাল কারবারের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্বনাথ মান্নার পরিবার। অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তৃণমূল ব্লকের সভাপতি মনসারাম লায়েক বলেন, “এর সঙ্গে বিজয় মান্নার কোনও যোগাযোগ নেই। তবে দলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে খোঁজখবর করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। ওঁ নিজেই বলেছে, যদি আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি নিজেই দল ছেড়ে দেব।”

ডিএলআরও দেবাশিস সরকার বলেন, “আমি যেটা শুনেছি সার্টিফিকেটের মধ্যে প্রধানের সই রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা ধরেই নেব, সার্টিফিকেট ঠিক আছে। ফাইলটা নিয়ে আমাদের থ্রি ম্যান কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। আমরা দেখছি বিষয়টা।”

Next Article