বাঁকুড়া: শালি জমি ভরাটের অভিযোগ উঠল জমির মালিকদের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর পেয়ে জমি ভরাট বন্ধ করল ভূমি রাজস্ব দফতর। ভূমি দফতরের কাছে থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফ থেকে। তাহলে কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছিল নীচু শালি জমি, তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে জমির মালিকরা জমির দালালদের দিয়ে ভরাট করিয়ে ওই নীচু শালি জমি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল। যদিও জমির মালিকদের বক্তব্য, মাটি ভরাট করার পঞ্চায়েতের অনুমতি রয়েছে তাঁদের কাছে।
বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের জঙ্গলমহল মৌজায় জে এল নং ৮৫ তে ৬ শতক শালি জমি মাটি ভরাটের অভিযোগ সামনে আসে সম্প্রতি । প্রকাশ্য দিবালোকে বাইরে থেকে মাটি এনে সেই জমি ভরাট করছে জমির মালিকরা। জমির মালিকদের দাবি পঞ্চায়েত থেকে তাদের অনুমতি রয়েছে। বাকি প্রয়োজনীয় অনুমতি লোক দিয়ে করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিকরা।
জয়পুর ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিককে চিঠি দিয়ে ওই শালি জমিতে মাটি ফেলার সুপারিশ করেছেন রাউৎখণ্ড অঞ্চলের প্রধান দাবি তুলেছেন জমির মালিকরা। যদিও প্রধানের দাবি এই ধরনের কোন সুপারিশ তিনি করেননি। আর করতেও পারেন না। তাঁর সই করা নথিতে কিভাবে এই সুপারিশ চিঠি গেল তা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
প্রধানের কোন সুপারিশ চিঠি বি এল আর ও অফিসে আসেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিএলআরও । শালি জমি ভরাটের কোন অনুমতিও বিএল আরও অফিস থেকে নেননি জমির মালিকরা। এই অবস্থায় সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জয়পুরের ব্লকের ভূমি সংস্কার আধিকারিক।
দিনে দুপুরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন নীচু জমি ভরাট করে বিক্রি উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। এই বিষয়গুলি ঘটে চলেছে একশ্রেনির জমির মালিক ও জমি দালালদের যোগসাজসে। জয়পুরের ৬ শতক শালি জমি ভরাটকে ঘিরে যে অভিযোগ সামনে এসেছে সংশ্লিষ্ট দফতর কি পদক্ষেপ নেয় এখন সেটাই দেখার।