বাঁকুড়া: গোটা রাজ্য থেকে অনবরত ধর্ষণ ও শ্লীনতাহানির খবর প্রকাশ্যে আসছে। এবার টিউশান থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হতেই সক্রিয় হয় কোতুলপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই সাইকেলে চড়ে গ্রামের অন্যান্য বান্ধবীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী মঙ্গলবার সন্ধেয় গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে টিউশান পড়তে যায়। সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত টিউশান চলার কথা। কিন্তু গতকাল স্থানীয় এলাকায় কালী প্রতিমার বিসর্জন থাকায় সাতটা নাগাদ টিউশানি ছুটি দিয়ে দেন গৃহশিক্ষক। ছুটি হতেই এক বান্ধবীর সাইকেলে চড়ে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।
অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে কালী মন্দিরের সামনে থেকে এক যুবক তাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। অন্ধকার জায়গায় আসতেই সাইকেলে বসে থাকা ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। তারপর চলন্ত সাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে তার শ্লীলতাহানী করে যুবক বলে দাবি ছাত্রীর। ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা দেখে ছাত্রীর সঙ্গে থাকা অন্যান্য বান্ধবীরা যুবকের দিকে তেড়ে গিয়ে কোনওক্রমে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ফের গৃহশিক্ষকের কাছে ফিরে যায়। এরপর ওই শিক্ষক ফোন করে গোটা বিষটি নির্যাতিতার পরিবারকে জানায়। এরপরই নির্যাতিতার গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে অভিযুক্তর গ্রামে যায়। কিন্তু অভিযুক্তর বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় শেষ পর্যন্ত কোতুলপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়েরের ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্থানীয় এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। প্রশাসন অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
নির্যাতিতার মা বলেন, “অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে জাপটে ধরে সাইকেল থেকে ফেলে দেয়। আমার মেয়ে উঠতে পারেনি। তখনই শ্লীলতাহানি করে। যাইহোক করে তুলে স্যরের কাছে নিয়ে যায়। পরে পুলিশকে ফোন করা হয়।” নির্যাতিতার বাবা বলেন, “”