বাঁকুড়া: আজ থেকে আংশিক কর্মবিরতি উঠছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এরইমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জুনিয়র ডাক্তাররা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ত্রাণ সংগ্রহ করে রওনা দেন পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকায়। বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা পরিষেবাও দেবেন তাঁরা। আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট জানিয়েছিল, বন্যা দুর্গত এলাকায় ক্লিনিকের পাশাপাশি ত্রাণ শিবির কর্মসূচিও করবে তারা। আজ থেকেই তা শুরু।
বন্যায় ভাসছে রাজ্যের একাধিক জেলা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম জলের তলায়। এমন পরিস্থিতি যে, বিএমওএইচ হাসপাতালে পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। এই আবহে আজ থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আজ সকালে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম ম্যাটাডরে করে পাঁশকুড়ার পথে রওনা দেন। চাল, ডাল, আলু, মুসুর ডাল, বিস্কুট, সয়াবিন, চিঁড়ে, চিনি, ভোজ্য তেল ছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন পর্যাপ্ত ওষুধ। বিদ্যুৎ নেই। তাই সঙ্গে নিয়েছেন মোমবাতি। খোলা হবে স্বাস্থ্য ক্লিনিকও।
আরজি করের ঘটনার পর থেকে টানা কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে তাঁরা। আজ শুক্রবার সেই অবস্থান উঠছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্স যাবেন তাঁরা। এরপর নিজ নিজ মেডিক্যাল কলেজে ফিরে গিয়ে পরিষেবাও দেবেন। যদিও তা আংশিক। ওপিডি-কোল্ড ওটি’র (কোল্ড ওটি মানে পরিকল্পিত ওটি) ক্ষেত্রে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। তবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতেও বদ্ধপরিকর তাঁরা।