বাঁকুড়া: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের মিরগিপাহাড়ি গ্রাম। বুধবার দুপুরের পর আচমকাই জঙ্গলের আগুন ঘিরে ফেলে গোটা গ্রামকে। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যেতে থাকে গ্রাম। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি ও পুলিশ কর্মীরা। আগুনের লেলিহান শিখায় হালকা আহত হন খাতড়ার এসডিপিও সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও, সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায় মিরগিপাহাড়ি গ্রাম।
জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা বাঁকুড়ায় নতুন নয়। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝে গতকাল মিরগিপাহাড়ি গ্রামের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের আগুন যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল সাম্প্রতিক অতিতে তেমন নজির নেই বাঁকুড়া জেলায়। জানা গিয়েছে, এই গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের ঝরা পাতায় লেগে যাওয়া আগুন ধীরে ধীরে দাবানলের আকার নিয়ে ধেয়ে আসে গ্রামের দিকে। চারিদিক থেকে আগুনের বলয় ঘিরে ফেলে গোটা গ্রামটিকে। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা প্রথমে নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা দেখে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকলের একের পর এক মোট আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয়দের সাহায্য করেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডিও।
খবর পেয়ে খাতড়ার এসডিপিও র নেতৃত্বে পুলিশও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুনের হাত থেকে মিরগিপাহাড়ি গ্রামকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন সকলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত লাগাতার চেষ্টার পর অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ আগুনের হাত রক্ষা পান মিরগিপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। আগুনের হলকায় আহত হন খাতড়ার এসডিপিও সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। যদিও পুলিশ জানিয়েছে প্রত্যেকেরই আঘাত তেমন গুরুতর নয়। এ প্রসঙ্গে জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “এই গ্রামের চারিদিকে পুরো আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর গাছ এখানে পুড়ে যায়। আমরা খবর পেয়েই চলে এসে আগুন নিভিয়েছি।”