বাঁকুড়া: গ্রামের অদূরে সরকারি খাস জমি উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে। প্রশাসনের তরফে ওই জমি গ্রামের উন্নয়নের জন্য গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রভাব খাটিয়ে সেই জমির পাট্টা হাতিয়ে নিজেদের নামে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও সহ সভাপতি সহ স্থানীয় তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই আন্দোলনে নামেন গ্রামের মানুষ। চাপে পড়ে পাট্টা পাওয়া জমি সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেন অভিযুক্তরা। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারডাঙ্গা গ্রামের। এই ঘটনায় ফের শাসক দলের দুর্নীতি সামনে এলো। কটাক্ষ বিজেপির।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারডাঙ্গা গ্রামের অদূরে থাকা সরকারি ১০ বিঘা জমি গ্রামের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ওই জমির দখলি সত্ত্বের জন্য সরকারের কাছে বারবার আবেদনও করে আসছিলেন গ্রামের মানুষ । গ্রামবাসীদের দাবি, সম্প্রতি গ্রামের মানুষ দেখেন ওই ১০ বিঘা জমি ১০ জনের নামে পাট্টা রেকর্ড করা হয়েছে। পাট্টা প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিষ্ণুপুর ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতির। বিষয়টি সামনে আসতেই সরব হন গ্রামের মানুষ। প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিজেদের নামে সরকারী খাস জমি হাতিয়ে নিয়েছেন এই অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রীতিমত রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হন গ্রামের মানুষজন। যদিও অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে পাট্টা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন ওই পাট্টা জমি তাঁরা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনও করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পাট্টা দেওয়া সম্পূর্ণ রূপে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।
প্রভাব খাটানোর বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, সর্বত্রই তোএরকম ধরনের ঘটনা ঘটছে। এবার গ্রামবাসীরাই সোচ্চার হচ্ছে। ভোটেও তার প্রভাব পড়বে।