Bankura TMC: সরকারি প্রকল্পের টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার শখের আশ্রম, বিডিও-র কাছে অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 26, 2022 | 12:52 PM

Bankura TMC: গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদ এলাকা বঞ্চিত হলেও পঞ্চায়েত প্রধান নিজের সংসদে কাজ করার নামে সেই প্রকল্পের কাজ করাচ্ছে স্থানীয় পঞ্চবটী নামের একটি আশ্রমে।

Bankura TMC: সরকারি প্রকল্পের টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার শখের আশ্রম, বিডিও-র কাছে অভিযোগ
টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

Follow Us

বাঁকুড়া: পঞ্চায়েতের একের পর এক সরকারি প্রকল্পে সেজে উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার শখের পঞ্চবটী। গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদ বঞ্চিত হলেও পঞ্চায়েত প্রধানের প্রচ্ছন্ন মদতে একের পর এক সরকারি প্রকল্প সোজা চলে যাচ্ছে ওই পঞ্চবটীতে। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষমেশ ক্ষোভের কথা জানিয়ে স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। ক্ষোভের কথা লুকিয়ে রাখেননি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যরাও।

বাঁকুড়া শহর লাগোয়া জগদল্লা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে মোট দশটি গ্রাম সংসদ। অভিযোগ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদের সদস্যরা উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বারে বারে জমা করলেও বহু ক্ষেত্রে সে কাজ হচ্ছে না।

অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধানের নিজস্ব সংসদে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদ এলাকা বঞ্চিত হলেও পঞ্চায়েত প্রধান নিজের সংসদে কাজ করার নামে সেই প্রকল্পের কাজ করাচ্ছে স্থানীয় পঞ্চবটী নামের একটি আশ্রমে।

স্থানীয়দের দাবী পঞ্চবটীতে এই কাজ হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী তৃনমূল নেতা মধূসূদন ডাঙ্গরের অঙ্গুলিহেলনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই সরকারি প্রকল্পের টাকায় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পঞ্চবটী আশ্রমে তৈরি হয়েছে রাস্তাঘাট, পাকা মঞ্চ, সুউচ্চ বাতি স্তম্ভ, পাকা ভবন।

এই পঞ্চবটী আশ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মধুসূদন ডাঙ্গর নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম। তাঁর কথাতেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অধিকাংশ প্রকল্প পঞ্চবটীর জন্য বরাদ্দ করছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত প্রধানের এই পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশও।

অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ, অস্বীকার করেছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মধুসূদন ডাঙ্গরও। তাঁর দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে সমস্ত কাজ করে গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চবটী আসলে কোনও আশ্রম নয় সেটি একটি শ্মশানঘাট। সেটি কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তিও নয়।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, “পঞ্চবটী সরকারি টাকায় নয় মানুষের দানের টাকায় চলে। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা না জেনেই এই অভিযোগ করেছেন।” বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।”

Next Article