বাঁকুড়া: জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন কয়েকজন। জঙ্গলের ভিতর থেকে একটা গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। দেখেন, মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবক। গলায় বিদ্ধ বর্শা। কথা বলার সামর্থ্য নেই তাঁর। দৃশ্য দেখে প্রথমে শিউরে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। যুবক অতি কষ্টে ভাঙা ভাঙা শব্দে ঘটনার যা বিবরণ দেন, তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। তিনি দাবি করেন, একটি নেউলকে তিনি লক্ষ্য করে বর্শা ছুড়েছিলেন। সেটাই ব্যুমেরাঙ হয়ে বেঁধে তাঁর গলায়। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার জঙ্গলে। বর্শাবিদ্ধ ওই যুবককে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে গলায় বর্শা গাঁথা থাকা অবস্থায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। বর্শা রীতিমতো গলা ফুঁড়ে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । পরে আহত যুবককে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা যায়, আহত যুবকের নাম হেমন্ত বেসরা।
হেমন্তের গলায় বর্শা কীভাবে বিঁধল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আহত যুবক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, শিকার করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু জঙ্গলে বন্যপ্রাণী শিকারে হাইকোর্টের নির্দেশিকা জারি রয়েছে। তা অমান্য করেই এই শিকার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার করে বর্শা বার করা হয়েছে। তবে ওই যুবকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।