‘বিধানসভায় দমবন্ধ করে দেব…’ হুঙ্কার দিলীপের, পাল্টা দিল তৃণমূলও
ফের বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বিশ্লেষকরা বলছেন শাসকদলকে চাপে রাখতেই এহেন কড়া বার্তা।
কলকাতা: “রাজ্যে দলের আসন বেড়েছে। বিধানসভায় দমবন্ধ করে দেব। বাইরে আন্দোলন করব।” ফের বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বিশ্লেষকরা বলছেন শাসকদলকে চাপে রাখতেই এহেন কড়া বার্তা।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “দল ঠিকই আছে। বাংলায় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বাংলার বাইরে হলে এই সংখ্যক ভোটে সরকার গঠন করতে পারতাম। ৭৫ টা সিট এখন আমাদের বিধানসভায় আছে। বিধানসভায় দমবন্ধ করে দেবো আর বাইরেও আন্দোলন করবো। যে ধরনের অত্যাচার-লুঠপাট শুরু হয়েছে, সাধারণ মানুষ খুব ভয়ে রয়েছে।”
রবিবার সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামীণ হাটে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চায়ে পে চর্চায় অংশগ্রহণ করেন দিলীপ ঘোষ । পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তাঁদের অভাব অভিযোগও শোনেন। নির্বাচন পরবর্তী এটাই প্রথম জেলা সফর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু এবার তার উলটপুরাণ। একুশের নির্বাচনে নিজের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচনের আগে প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি গেরুয়া শিবির। তবে কি সংগঠনের বাঁধন হালকা হতে শুরু করেছে? কিছুটা সেকথা স্বীকার করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “হতে পারে সংগঠনকে আমরা বুথ স্তর পর্যন্ত শক্ত করতে পারিনি । জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভাল ফল করেছিলাম। লোকসভা নির্বাচনেও ভাল ফল হয়েছিল। কিছু কিছু জায়গায় হেরেছি আমরা। আমাদের কার্যকর্তাদের অভিজ্ঞতা কম। তবে গত পাঁচ বছরে আমরা সংগঠনকে মজবুত করেছি।” তবে হারের ব্যাপারে আরও একটি বিষয়ের ইঙ্গিত দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক ক্যান্ডিডেট কাউন্টিং সেন্টার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অ্যানালিসিস শুরু করেছি । ”
তৃণমূলের জয়কে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে কিন্তু বিজয় উৎসব করতে পারল না। ওরা মাংস রান্না করেছে, কিন্তু কেউ খেতে আসেনি কেউ।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “দম কেউ বন্ধ করতে পারবে না, বাইরে আন্দোলন ওঁ কত দূর করতে পারেন, তা তো দেখা গিয়েছে। হেরে ভূত হয়ে গিয়েছে। ১০০র গণ্ডি পেরোতে পারেনি ওরা। বড় বড় কথাই বলতে পারেন, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে।”