বিষ্ণুপুর: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Bnaerjee) নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)। বাঁকুড়া-বিষ্ণপুর অভিষেকের জন্য় অপয়া। ভগবান চান না এখানে মানুষের কোনও খারাপ পরিণতি হোক। সেই কারণেই ডাক এসেছে সিবিআই-এর। বিজেপি চায় অপরাধীরা ধরা পড়ুক ও তিহার জেলে থাকুক। এ হেন মন্তব্য করেই বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপি নেত্রী।
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে জেলায়-জেলায় জনসংযোগ যাত্রা করছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দু’মাস ধরে সেই কর্মসূচি করার কথা ছিল তাঁর। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সেই কর্মসূচি সম্পন্নও হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় কর্মসূচির জন্য যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। তবে ঝড়-বৃষ্টির জন্য সেই সভা আটকে যায়। এরপর পরের সভা করার আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তলব করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকে। ফলে কর্মসূচি একপ্রকার থামিয়েই চলে কলকাতায় চলে আসতে হয়েছে তাঁকে।
গতকাল বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভার নিত্যানন্দপুর মিনি মার্কেটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দিয়ে লকেট বলেন, “বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য খুব অপয়া। যেদিন তিনি বাঁকুড়া ঢুকেছেন সেদিনই ঝড় বৃষ্টি হয়ে তাঁর সভা আটকে গিয়েছে । প্রাকৃতিক বিষয়ে কারোর হাত নেই। ভগবানই চান না বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের মানুষের খারাপ পরিণতি হোক। আজ আবার সিবিআই এর ডাক পড়ল। যুবরাজ আসবে বলে সোনামুখী বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে কিছু দিতে পারবে না। আবার সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারবে। এই ধরনের লোকেদের ভগবান এভাবেই শাস্তি দেয়। আমরা চাই দোষী ধরা পড়ুক এবন শীঘ্রই তিহার জেলে যায়। আগামী ২২ মে থেকে পুনরায় নবজোয়ার যাত্রা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২২ মে পর্যন্ত থাকলে হয়।”
যদিও, গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আগামিদিনে অভিষেক না পারলে, তিনি নিজে সব সভায় যাবেন। অভিষেকের উদ্দেশ্যে মমতা বার্তা ” চিন্তা করিস না, তুই চলে আয়, আমি মিটিং করব”