বাঁকুড়া: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া গ্রামে। মৃতার নাম আরতি কাপড়ি। মৃতার আত্মীয় ও স্থানীয়দের দাবি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ নিয়ে বাদাম চাষ করে ব্যপক লোকসান করেছিলেন আরতি কাপড়ি। লোকসানের মুখে পড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ শোধ করতে না পেরেই ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে বেলশুলিয়া গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান আরতি কাপড়ি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে থাকা একটি পেয়ারা গাছে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় আরতি দেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের দাবি, গত মরসুমে বাদাম চাষের জন্য আরতি কাপড়ি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। অসময়ে বৃষ্টি ও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাদাম চাষে ব্যপক লোকসান হয় তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি তিনি।
এদিকে ঋণ শোধ করতে না পারায় গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যারা আরতির উপর ক্রমাগত চাপা বৃদ্ধি করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে মানসিক অবসাদে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঋণ টাকা শোধ না করতে পারাতেই মহিলার আত্মহত্যা নাকি পিছনে অন্য কোনও কারন রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।