বাঁকুড়া: হাতির দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে বাঁকুড়ায় প্রবেশের মুখে ৪৫ থেকে ৫০টি বুনো হাতির দল। তার আগে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাঠে নামল বন দফতর। ফসল ও সম্পত্তি-হানীর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বাঁকুড়ায় হাতির হানা কোনও নতুন ঘটনা নয়। প্রায় প্রতি বছরই আমনের ভরা মরসুমে হাতির দল খাবারের খোঁজে দলমা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে। চলতি বছরও তার অন্যথা হল না গতকালই বাঁকুড়ার অভিমুখে অর্থাৎ পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানার কাছাকাছি চলে আসে হাতির দলটি। কিন্তু সীমানায় থাকা শিলাবতী নদীতে জলস্তর বেশি। তাই নদী অতিক্রম করে বাঁকুড়ায় প্রবেশের ঝুঁকি নেয়নি হাতির দলটি।
জানা গিয়েছে এই হাতির দলে প্রায় ১৫ টি শাবক রয়েছে। তাই আপাতত অত্যন্ত সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ করতে চাইছে বন দফতর। হাতির দলটি জেলায় এলে যাতে সেটি স্বচ্ছন্দে নিজস্ব গতিপথে যেতে পারে তার যেমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তেমনই হাতির হানায় যাতে এলাকায় যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জয়পুরের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে প্রচার অভিযান শুরু করেছে বন দফতর। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও আশঙ্কা দূর হচ্ছে না তাদের।
কৃষকদের আশঙ্কা আমনের এই ভরা মরসুমে হাতির দল জেলায় এলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। বন দফতর জানিয়েছে হাতির দলে শাবক থাকায় দলটি ইতস্তত না ঘুরে জঙ্গলের মধ্যেই নিজেদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হবে সর্বনিম্ন। তারপরও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে বন দফতর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে।