Bankura: হয় জল দিক, নাহলে সরকার খুলে নিয়ে যাক কল, ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া গ্রাম

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 26, 2024 | 11:49 AM

Bankura: নল আছে জল নেই! বাঁকুড়ার উপর- শুশুনিয়া গ্রামের মতো নির্জলা বহু গ্রাম বলছে, হয় জল দিক নাহলে সরকার খুলে নিয়ে যাক নল। বাড়ছে ক্ষোভ। এমনিতেই খরা পীড়িত জেলা হিসাবে পরিচিত বাঁকুড়া জেলা। গ্রীষ্মকাল এলে ধু ধু করা মাঠ পেরিয়ে পরিবারের জন্য পানীয় জল সংগ্রহ করা বাঁকুড়ার এক পরিচিত দৃশ্য। সেখানে এই ছবি নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

Bankura: হয় জল দিক, নাহলে সরকার খুলে নিয়ে যাক কল, ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া গ্রাম
ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: গ্রামে নল এসেছে। বাড়ি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে টাইম কলও। গ্রামের মানুষের আশা ছিল এবার বুঝি মিটবে গ্রামের জলকষ্ট। কিন্তু কোথায় কী! অভিযোগ, নল এসেছে, কল বসেছে  কিন্তু জল মেলেনি এক ফোঁটাও। এই ছবি শুধু বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের উপর শুশুনিয়া গ্রামেরই নয়, জেলার বহু গ্রামের এই ছবিই দস্তুর। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ, বাড়ছে ক্ষোভ। 

এমনিতেই খরা পীড়িত জেলা হিসাবে পরিচিত বাঁকুড়া জেলা। গ্রীষ্মকাল এলে ধু ধু করা মাঠ পেরিয়ে পরিবারের জন্য পানীয় জল সংগ্রহ করা বাঁকুড়ার এক পরিচিত দৃশ্য। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের উপর শুশুনিয়া গ্রামেও সেই ছবি দস্তুর। গ্রামের দু- মাথায় থাকা দুটি টিউবওয়েল থেকে পরিবারের পানীয় জল সংগ্রহ করে কোনোক্রমে চাহিদা মেটাতেন স্থানীয়রা। কোনও কারণে টিউবওয়েল বিকল হলে ভরসা ছিল গ্রামের কিছুটা দূরে থাকা পুকুরের জল। স্নান করা, বাসন মাজা বা কাপড় কাচার জন্য পুকুরের জলই ছিল ভরসা।  

কিন্তু, বছর খানেক আগে গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল দেওয়ার জন্য বসানো হয় পাইপ লাইন। বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইনের সংযোগও দেওয়া হয়। সুন্দর কংক্রিটে বাঁধাই করে প্রতিটি বাড়ির উঠোনে ঘটা করে বসানো হয় ট্যাপ। গ্রামের জলকষ্ট দূর হবে এই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন গ্রামের মানুষ। কিন্তু কোথায় কী! নল ও কল বসলেও আজো নলবাহিত পানীয় জল এসে পৌঁছায়নি এই উপর শুশুনিয়া গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে একটি নলকূপও। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে আনাগোনা বাড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। পাইপ লাইনে জল দেওয়ার ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতিও মেলে। কিন্তু জল আর আসে না গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে বসানো ট্যাপে। অগত্যা উপর শুশুনিয়া গ্রামের মানুষ আজও পরিবারের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে জল বয়ে আনেন দূরের নলকূপ থেকে। আজো স্নান,  কাপড় কাচা বা বাসন মাজার জন্য তাঁদের ভরসা দূরের পুকুরের জল। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষের দাবি, হয় জল দিক সরকার নাহলে খুলে নিয়ে যাক জলের কল, পাইপ লাইন। 

Next Article