বাঁকুড়া: মর্মান্তিক! ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ন’বছরের আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি এই ঘৃণ্য কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। গোটা ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার ঘটনা। সেখানেই ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ন’বছরের আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আদিবাসী ওই শিশুটির বাবা ও মা গত কয়েক বছর আগে মারা যান। পিসির সঙ্গেই গ্রামের বাড়িতে সে থাকত। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার রাতে বাড়িতে যখন ঘুমোচ্ছিল তখন কেউ বা কারা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি গ্রামের লোক বুঝতে পেরে রাতেই খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও সন্ধান মেলেনি।
এরপর মঙ্গলবার ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় সে নিজের বাড়িতে ফেরে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গ্রামে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস, বিষ্ণুপুরের এস.ডি.পি.ও কুতুবউদ্দিন খান, সোনামুখী থানার আই.সি সূর্যদীপ্ত ভট্টাচার্যরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, রাত্রিবেলা বিষয়টিকে তারা ছেলেধরা’র ঘটনা বলে মনে করেন। তবে আজ ভোরে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফিরলে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এলাকায় মদের ভাটির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এই বিষয়ে মানিক বাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরিজিৎ মল্লিক বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গ্রামে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা এসেছিলেন। দু’এক দিনের মধ্যেই অভিযুক্তকে ধরা যাবে বলে আশা করছি। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বছর নয়ের একটি বাচ্চা মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বিছানা থেকে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ছেলেধরা হবে। তারপর সকালে যখন মেয়েটি আসে তখন দেখি মেয়েটির রক্তপাত হচ্ছিল। পরিষ্কার সবটা। এরপর পুলিশকে জানিয়েছি বিষয়টা। পাশাপাশি এই চোলাই মদের কারবার বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছি আমরা।’