বাঁকুড়া: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ তৃনমূল কর্মীদেরই একাংশের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরে।
সোমবার রাতে দলেরই পঞ্চায়েতের উপ প্রধানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃনমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই উপপ্রধান। খবর চাউর হতেই উপ প্রধানের অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূলের একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর বুথে বৈঠক করে সোমবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্লকের লটিয়াবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান মানিক মণ্ডল। সেই সময় তাঁকে জীতেন লোহার নামের এক ব্যাক্তি টেলিফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
হুমকি পাওয়ার পরই উপ প্রধানের অনুগামীরা জীতেন লোহারকে গ্রেফতারের দাবিতে রাতে দুর্লভপুরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। সেই অবরোধে নেতৃত্ব দেন তৃনমূল পরিচালিত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি নিমাই মাজি। পরে প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
এরপর ওই ব্যাক্তির নামে গঙ্গাজলঘাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপপ্রধান মানিক মণ্ডল। অভিযুক্ত জীতেন লোহারের দাবি তিনিও তৃণমূল কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলেরই একাংশ তাঁকে ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে।
অভিযুক্তের বক্তব্য, “আমি কোনও হুমকি দিই নি। আমি ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল করা ছেলে। ওরা তো ২০১১ সালে এসেছে। মাঝে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে ওদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে। ওদের দুর্নীতি মানতে পারছিলাম না।”
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, “আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। আমার কী অন্যায় সেটা বুঝতে পারছি না। হঠাৎ কেন হুমকি দিল, সেটাও জানি না।” পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি নির্মল মাজি বলেন, “আমার কাছে ফোন আছে। শুনি যে উপ প্রধানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে। পরে ছেলেদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দিই। পুলিশকেও বলেছি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে। “