বাঁকুড়া: রেশন দুর্নীতি মামলা, পুরসভার নিয়োগ মামলা, শিক্ষক নিয়োগ মামলা-সহ একাধিক মামলায় রাজ্যজুড়ে তৎপরতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। আর এসবের মধ্যেই এবার এক বিধায়কের অফিসে আয়কর হানা। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের নামে থাকা চালকলে আয়কর অফিসাররা হানা দিয়েছেন। আজ দুপুর ১২টা নাগাদ আয়কর দফতরের একাধিক গাড়ি তন্ময় ঘোষের বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে আয়কর অফিসারদের একটি টিম বিধায়কের অফিসে ঢুকেছেন। বাইরে মোতায়েন রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
শুধু বিধায়কের অফিস ঘরেই নয়, বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া চূড়ামণিপুর এলাকায় বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের নামে একটি চালকল রয়েছে। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছেন আয়কর অফিসাররা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের প্রায় ৫-৬ জনের একটি টিম সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেও চালকলের বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কী কারণে এই আয়কর হানা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তন্ময় ঘোষ বিজেপির টিকিটে বিষ্ণুপুর থেকে ভোটে জিতেছিলেন। পরবর্তীতে বিধায়ক হওয়ার পর তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। বিধানসভার খাতায় কলমে তিনি বিজেপির বিধায়ক হলেও, তন্ময় ঘোষ এখন তৃণমূলের লোক।
যখন বিষ্ণুপুরে বিধায়কের অফিসে আয়কর হানা চলছে, বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তখন কলকাতায়। বিধানসভার একটি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছেন তিনি। বিধানসভায় সব মিলিয়ে মিনিট চারেক ছিলেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। আয়কর হানা প্রসঙ্গে বিধানসভায় লবিতে ঢোকার সময় বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এ নিয়ে কিছু জানি না। শুনেছি টিম গিয়েছে। অনেকে গিয়েছে শুনছি। কিন্তু আমি তো কলকাতায়।”
এদিকে বিষ্ণুপুরের আয়কর তল্লাশি নিয়ে বিধায়ককে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “তন্ময় ঘোষ বাড়িতে শুনলাম কেন্দ্রীয় এজেন্সি রেইড করছে। এখানে বিধানসভায় ছিলেন। ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে গেলেন। কোন দলে আছেন, তিনি নিজেই জানেন না।”