বাঁকুড়া: নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে আগেই পথে নেমেছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশ। আদিবাসী কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয় ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি। কয়েকদিন আগে জঙ্গলমহল জুড়ে বনধও ডাকেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও চিড়ে গলেনি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও রকম সদুত্তর না আসায় লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশ। এই ইস্যুতে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আন্দোলনরত কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশ।
গতকাল, বাঁকুড়ার সিমলাপালের জনসভায় যাওয়ার পথে হরিণটুলিতে শুভেন্দুর কনভয় আটকানোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। তবে কুড়মিদের পতাকা হাতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কনভয় থামিয়ে নিজেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শুভেন্দু। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবিগুলি বিধানসভায় উত্থাপনের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছে আবেদন করেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পাঁচ জন প্রতিনিধিকে কলকাতায় আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুড়মি আন্দোলনকারীদের একাংশ নিয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ক্ষোভ বেড়েছিল। বিজেপি নেতাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। দিলীপের জায়গায় ক্ষমা চেয়ে নেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে দিলীপ ছিলেন দিলীপেই। ক্ষমা চাননি। উল্টে বলেন যে যিনি অন্যায় করেন তিনিই ক্ষমা চান। এরপর গতকাল অজিত মাহাতোর নেতৃত্বে লাঠি, শাবল হাতে দিলীপ ঘোষের খড়্গপুরের বাংলো বাড়ি ঘেরাও করেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। ওই দিনই আবার বিজেপি নেতার কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়ার আবেদন জানান তাঁরা।