Bankura Road Accident: বাঁক কাঁধে, হেঁটে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছিল কিশোর, পিছনে হঠাৎ ট্রাক্টর, আর সব শেষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 08, 2022 | 2:48 PM

Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালতোড়া থানার কাটাবাইদ গ্রামের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে শিবের মাথায় জল ঢালার উদ্দেশে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা পুণ্যার্থীদের দেখছিল শুভদীপ মাঝি নামের বছর বারোর এক কিশোর।

Bankura Road Accident: বাঁক কাঁধে, হেঁটে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছিল কিশোর, পিছনে হঠাৎ ট্রাক্টর, আর সব শেষ
দুর্ঘটনায় মৃত্যু কিশোরের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বাঁকুড়া: মর্মান্তিক! বেপরোয়া বালি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। গোটা ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। রাস্তা অবরোধ হয়েছে ইতিমধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালতোড়া থানার কাটাবাইদ গ্রামের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে শিবের মাথায় জল ঢালার উদ্দেশে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা পুণ্যার্থীদের দেখছিল শুভদীপ মাঝি নামের বছর বারোর এক কিশোর। সেই সময় বালি বোঝাই করা বেপোরোয়া গতিতে আসা একটি ট্রাক্টর ধাক্কা মারে ওই কিশোরকে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় রাস্তার উপরেই পড়ে যায় কিশোর।

পরে ট্রাক্টরের পিছনের চাকা কিশোরের মাথায় উপর দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ওই কিশোর।ঘটনার পর তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। রাস্তায় ইট ফেলে রাস্তা অবরোধ করে দেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ, রাস্তার উপর দিয়ে বেপোরোয়া ভাবে বালি বোঝাই ট্রাক্টর যাতায়াত করে। অধিকাংশ ট্রাক্টর চালকের লাইসেন্স নেই। ট্রাক্টরের বৈধ কাগজ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কীভাবে ট্রাক্টরগুলি পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এইভাবে যাতায়াত করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। এলাকায় যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণেরও দাবিও তুলেছেন এলাকার মানুষজন। ঘটনাস্থলে শালতোড়া থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ভোলে বাবার গাড়ি যাচ্ছিল। ছেলেটা সেই গাড়িটি দেখছিল। আচমকা একটা ট্রাক্টর এসে ধাক্কা মারে। সঙ্গে-সঙ্গে মারা যায়। অর্ধেক দিন এই ভাবে কত মানুষের প্রাণ চলে যায়। ছেলেটার বয়স কত হবে। বারো কী তেরো। এইভাবে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাক্টরগুলির কোনও বৈধ কাগজ-পত্র নেই। এইভাবে রোজ চলে যাচ্ছে।’

Next Article