Bankura: শরীরে দেয় না, তাও তেষ্টা মেটাতে ওদের যেতে হয় দূর-দূরান্তে

Bankura: একটি নলকূপ থেকেই গত ১০ বছর ধরে পানীয় জল ও গৃহস্থালির ব্যবহারের জল সংগ্রহ করে আসছেন গ্রামের মানুষ। বছরের অন্যান্য সময়ে স্থানীয় পুকুর ডোবার জল ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু গ্রীষ্ম পড়তেই অধিকাংশ পুকুর ডোবা নির্জলা হয়ে পড়ায় চরম জলকষ্ট শুরু হয়েছে গ্রাম জুড়ে।

Bankura: শরীরে দেয় না, তাও তেষ্টা মেটাতে ওদের যেতে হয় দূর-দূরান্তে
তৃষ্ণা মেটাতে যায় অন্যত্রImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2024 | 9:28 AM

বাঁকুড়া: শরীর পুড়ে কাঠ হয়ে যায় ওদের। গলা শুকিয়ে যায়। গরমকালে সেই তৃষ্ণা ওঠে চরমে। বহু দূর থেকে আনতে যেতে হয় তবু নাকি প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। তেমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসী।

গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সংকট। গ্রীষ্ম পড়তেই সামান্য পানীয় জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার। বারংবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রতিবাদে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকাবাসী। ঘটনা বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের ডুমুরগড়া গ্রামের। বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের ডুমুরগড়া গ্রামে কমবেশি ৫০ টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। গ্রামের মানুষের ব্যবহারের জন্য ওই গ্রামে একটি দুটি নয় মোট সাতটি নলকূপ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে ৬ টি নলকূপের জলই ব্যবহারের অযোগ্য।

একটি নলকূপ থেকেই গত ১০ বছর ধরে পানীয় জল ও গৃহস্থালির ব্যবহারের জল সংগ্রহ করে আসছেন গ্রামের মানুষ। বছরের অন্যান্য সময়ে স্থানীয় পুকুর ডোবার জল ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু গ্রীষ্ম পড়তেই অধিকাংশ পুকুর ডোবা নির্জলা হয়ে পড়ায় চরম জলকষ্ট শুরু হয়েছে গ্রাম জুড়ে। গ্রামের দু কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নলবাহিত পানীয় জলের পাইপ লাইন বসানো হলেও অজানা কারনে তা পৌঁছায়নি ডুমুরগড়া গ্রাম পর্যন্ত। বারংবার এই জল সঙ্কটের কথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানানো হলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের পানীয় জল সহ ব্যবহার্য জলের সঙ্কট মেটানোর দাবি নিয়ে এবার খাতড়ার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ডুমুরগড়া গ্রামের আদিবাসী মানুষেরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর আপাতত প্রতিদিন এলাকায় ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে জল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।