বাঁকুড়া: তাপপ্রবাহে ভুগছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টির আশায় মুখিয়ে গোটা বঙ্গ। এদিকে, গরম বাড়তেই মাটির নিচে নেমেছে জলস্তর। জলের জন্য শুরু হয়েছে জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে হাহাকার। হুগলি থেকে বাঁকুড়া সব জায়গায় ছবিটা একই। এদিকে জলের হাহাকার বাড়ার পরও পাম্পিং হাউসে জলের বিপুল অপচয়ের ছবি ধরা পড়েছে।
বাঁকুড়ার ঘটনা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে দ্রুত নামছে মাটির নিচের জলস্তর। সামান্য একটু জলের জন্য হাহাকার করছে জেলার বহু গ্রাম। বাঁকুড়া জেলা সদর শহরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে জলের সমস্যা রয়েছে। জলের জন্য যখন এমন হাহাকার তখন জল অপচয়ের ছবিটাও ধরা পড়ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দারকেশ্বর নদ থেকে জল পাম্পের সাহায্যে তুলে সরবরাহ করা হয় শহরে। যে পাঁচটি পাম্প হাউসের মাধ্যমে এই জল সরবরাহ করা তার মধ্যে অন্যতম মাদাকাটা পাম্প হাউস। এই পাম্প হাউস লাগোয়া নদী গর্ভেই জল অপচয়ের ছবি দেখা গেল। পুরসভার পাম্প হাউসের পাইপ লাইনের ছিদ্র থেকে অনবরত গড়িয়ে পড়ছে জল। সারাদিনে ওই ছিদ্র দিয়ে যে পরিমাণ জল অপচয় হচ্ছে তাতে কমপক্ষে দুশো পরিবারের জলের চাহিদা মিটত বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাঁকুড়া পুরসভার দাবি, ওই জায়গায় বারবার পাইপের ছিদ্র মেরামত করা হলেও সচেতনতার অভাবে এলাকার মানুষ বারবার পাইপে ছিদ্র করে দিচ্ছে। এই অপচয় রুখতে ফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা। এক এলাকাবাসী বলেন, “আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। গোটা গ্রামে এত পরিবার রয়েছে। অনেক কষ্ট করে আমাদের জল তুলতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী আমরা জল পাচ্ছি না। এত জলের সঙ্কট আমরা কী করব!”
বস্তুত, মঙ্গলবার তাপ প্রবাহের জেরে জল সরবরাহের সময় বাড়ানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এর পাশাপাশি স্কুলগুলিতেও জল দেওয়ার সময়সীমায় পরিবর্তন করা যেতে পারে বলেও খবর মিলেছে। বিশেষ করে যে স্কুলগুলি সকালে চলে, সেখানে জল দেওয়ার সময়সীমা পরিবর্তন করা যেতে পারে তাপ প্রবাহের জন্য। বলা হয়েছে, জলের ট্যাঙ্কগুলিকে প্রস্তুত রাখতে হবে। যেসব জায়গায় জলের ঘাটতি হবে, সেখানে যাতে দ্রুত জল পাঠানো যায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: JNM Hospital: ‘বাংলা না জানলে বিহারে চিকিৎসা করান’, চিকিৎসকের মন্তব্যে তুলকালাম সরকারি হাসপাতাল