বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগেই পর্যাপ্ত আলো, রাস্তা, জলের দাবি জানিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের বিরোধিতায় নেমেছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল দুয়ারে সরকারের স্পেশ্যাল শিবির।বয়কট করে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। পরবর্তীতে পদাধিকারীদের আশ্বাসে গলল বরফ।
শনিবার বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের হেত্যাশোল গ্রামে সরকারি কর্মীরা শিবির করতে গেলে গ্রামের রাস্তা পাকা করার দাবিতে শিবির বয়কট করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলার পর অবশেষে পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে রাস্তা পাকা করার আশ্বাস দিলে বরফ গলে। এরপর শুরু হয় ওই স্পেশাল শিবির।
বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের বহু রাস্তা পাকা হলেও হেত্যাশোল গ্রামে যাওয়ার রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। গ্রামে ঢোকার আগে আড়াই কিলোমিটার সেই কাঁচা রাস্তা গ্রামবাসীদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে বড় বাধা। বর্ষায় সেই রাস্তা হয়ে ওঠে আরও দুর্গম। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন সর্বত্র দরবার করেছেন। কিন্তু শুকনো আশ্বাস ছাড়া মেলেনি কিছুই। এবার তাই দুয়ারে সরকারের স্পেশাল শিবির বয়কট করে নিজেদের দাবি আদায়ে উদ্যোগী হলেন হেত্যাশোল সহ আশপাশের গ্রামের মানুষ।
এ দিন গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরকারী কর্মীরা দুয়ারে সরকারের স্পেশাল শিবির খুলে বসলেও প্রথমে গ্রামবাসীরা শিবিরে কোনও পরিসেবা নিতে যাননি। শিবিরে আসা কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। আগে গ্রামের পাকা রাস্তা তারপর দুয়ারে সরকার শিবির এই দাবিতে চলে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে শিবিরে ছুটে যান খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে গ্রামের রাস্তা পাকা করা ও গ্রামবাসীদের দাবি মতো পানীয় জলের নলকূপ বসানোর আশ্বাস দিলে বরফ গলে। এরপর দুয়ারে সরকারের স্পেশাল শিবিরে যোগ দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সেই কবে থেকে রাস্তা খারাপ। রোগী নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। কেউ কোনও কথাই শোনে না। বিডিও, এসডিও সকলকে বলেছি। সেই সিপিএম-এর আমল থেকে রাস্তা খারাপ হয়ে রয়েছে। কেউ কোনও কথা কানেই তোলে না। তাই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বয়কট করলাম।’