বাঁকুড়া: একদিন আগেও সব ঠিক ছিল। একদিন পর কার্যত নিঃস্ব হয়ে গেলেন কৃষকরা। কংসাবতী সেচ খালের জল উপচে ভাসল বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আচমকাই সেচ ক্যানেল উপচে জল ঢুকতে শুরু করে পার্শ্ববর্তী জমিতে। ফলে প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমির আলু নষ্ট হয়্র গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঁতরা তেঁতুলমুড়ি এলাকায়। এই ঘটনার জন্য কংসাবতী সেচ দফতরকে দায়ী করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মাঝ বরাবর চলে কংসাবতী সেচ খাল। সেই সেচ খালই এবার কাল হল কোতুলপুর ব্লকের সাঁতরা তেঁতুলমুড়ি এলাকার কৃষকদের। বৃহস্পতিবার আচমকাই ওই সেচ খাল দিয়ে জল আসে। দীর্ঘদিন ধরে খাল সংস্কার না করায় মজে যায় সেটি। সেই খালে আচমকাই জল এসে পড়ে। এরপর গভীর রাত থেকে তা উপচে পড়তে শুরু করে। হু হু করে সেচ খাল থেকে জল ঢুকতে শুরু করে পার্শ্ববর্তী আলুর জমিগুলিতে।
আজ সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখেন প্রায় পঞ্চাশ বিঘা আলুর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আলু জলের তলায় চলে যাওয়ায় ওই জমির আলু পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। কৃষকদের দাবি মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে কোনও মতে তাঁরা আলু চাষ করেছিলেন। এখন কংসাবতী সেচ দফতরের অবহেলা ও উদাসীনতায় লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্টের মুখে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্জয় দে বলেন, “রাতের বেলা জল ছেড়ে। আর কংসাবতীর এই খাল পরিষ্কার করেনি। সেই কারণে জল উপচে আলু চাষে ক্ষতি হয়েছে। দু’শো বিঘার আলুর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে চাষ করেছি। সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমাদের এই ঋণ মকুব করে দেয়।”