Bankura: পুকুরপাড়ে পড়ে আছে আস্ত কঙ্কাল, ‘ওটা আমার বাবা’, কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এল ছেলে
Bankura: এদিকে এদিনের এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। তদন্তের জন্য হাড়গোড় উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
বাঁকুড়া: রোজকার মতো এদিনও পুকুরে চড়ছিল হাঁস। আশেপাশে খেলা করছিল বাচ্চারা। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন পথ চলতি মানুষেরা। আচমকা পুকুরপাড়ে চোখ যেতেই চমকে উঠলেন চোখ কপালে উঠল সকলের। দেখা গেল পুকুড়ের পারেই পড়ে রয়েছে মৃত মানুষের প্রচুর হাড়গোড়। এদিন সকালে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার বড়বাইদ এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই পুকুরপাড়ে জমতে শুরু করে ভিড়। কোথা থেকে পুকুপাড়ে ওই হাড়গোড় এল তা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর।
এরইমধ্যে এলাকায় আসেন মেজিয়া থানা এলাকার রাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ ভুঁই। কাঁদতে কাঁদতে এলাকায় ছুটে আসেন তিনি। পাশে পড়ে থাকা পোশাক দেখে তিনি দাবি করেন এই দেহাংশ তাঁর বাবার। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে মহাদেব ভুঁই নিখোঁজ ছিলেন। সে সময় পরিবারের তরফে মেজিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করা হয়। প্রায় দুবছর পরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
এদিকে এদিনের এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। তদন্তের জন্য হাড়গোড় উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় পুলিশ। শুরু হয়েছে পরীক্ষা-নীরিক্ষা। তা শেষ হলেই বোঝা যাবে ওই হাড়গোড় আদপে কার। ঘটনায় আনন্দ ভুঁই বলেন, “আজ আমাদের এখানের লোক আমাকে বলে পুকুরপাড়ে কঙ্কাল পড়ে আছে। আমি খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় যাই। গিয়ে দেখি কিছু হাড়গোড় পড়ে আছে। আমার বাবা পা ভেঙে গিয়েছিল। রড দেওয়া ছিল। গিয়ে দেখি কঙ্কাল সমেত রডটা পড়ে আছে। কিছু জমাকাপড়ও পড়ে আছে। ওগুলো আমার বাবারই। আসলে আমার বাবার একটু মাথায় সমস্যা ছিল। সে কারণেই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে অনেক খুঁজে ছিলাম পাইনি।”