বাঁকুড়া: মৃত ছাগলের শরীরে প্রথমে বিষ দেওয়ার অভিযোগ। পরে সেই বিষযুক্ত ছাগলটিকে কুকুরকে খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার দুই।
ভয়ঙ্কর ঘটনাটি বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার বনমুখ গ্রামের। সেখানে থেকে গ্রেফতার করা হল বাবা ও ছেলেকে। ধৃত দু’জনের নাম অশোক পাল ও স্বপন পাল। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রিভেনশান অফ ক্রুয়েলটি আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে বনমুখ গ্রামের অশোক পাল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দার গৃহপালিত একটি ছাগল মাঠে চরতে গিয়ে কোনও এক হিংস্র প্রাণির হানায় আহত হন। এরপর সেই ছাগলটি গতকাল মারা যায়। অভিযোগ, তখনই অশোক পাল ও তার বাবা স্বপন পালের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে গ্রামের পথ কুকুরদের উপর। কুকুরের আক্রমণেই ছাগলটির মৃত্যু হয়েছে এই সন্দেহে পথের কুকুরদের ‘সবক’ শেখাতে উদ্যোগী হয় ছেলে ও বাবা।
অভিযোগ, এরপরই বাবা ও ছেলে দু’জনে মিলে ওই মৃত ছাগলের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে সেই ছাগলটিকে গ্রাম লাগোয়া মাঠের ধারে ফেলে রাখে। গ্রামের কুকুরের দল ওই ছাগলটির মাংস ছিঁড়ে খেলে বিষক্রিয়ায় একের পর এক কুকুর অসুস্থ হতে শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষক্রিয়ায় চার-পাঁচটি কুকুর মারা গিয়েছে। এই নৃশংসতার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে ধিক্কার জানান স্থানীয় এক গ্রামবাসী। সেই সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার খবর পেতেই দ্রুত গ্রামে যায় কোতুলপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া এলাকার বেশ কিছু কুকুরকে চিহ্নিত করা হয়। দ্রুত সেই কুকুরগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর তাতেও ঠেকানো যায়নি কুকুরের মৃত্যুমিছিল। এলাকার মানুষ গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি এই নৃশংসতার অপরাধে যুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।