সরকার বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা দিলেই মিলবে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট! বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jul 28, 2021 | 8:05 PM

Bankura: পড়ুয়াদের অভিযোগ, বুধবার তাঁরা স্কুলে গিয়ে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট নিতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা বাগাল দাবি করেন সরকারের তরফে যে ট্য়াব কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সররকার তা জমা দিতে হবে।

সরকার বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা দিলেই মিলবে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট! বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
সারেঙ্গা গার্লস হাইস্কুল, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

বাঁকুড়া: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগে পড়ুয়াদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে একাধিক বিদ্য়ালয়। এ বার, স্কুলত্যাগের শংসাপত্র (School Levaing Certificate) নিতে গেলে টাকা  চাওয়ার অভিযোগ উঠল সারেঙ্গা গার্লস হাই স্কুলে। ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাত্রী নিবাসে থাকার জন্য স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট নিতে গেলে ওই পড়ুয়াদের সরকার থেকে পাওয়া ১০ হাজার টাকা ভাতা স্কুলকে জমা দিতে হবে। তবেই মিলবে শংসাপত্র। ঘটনায়, পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের যুব সংগঠন।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, বুধবার তাঁরা স্কুলে গিয়ে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট (School Levaing Certificate) নিতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা বাগাল দাবি করেন সরকারের তরফে যে ট্য়াব কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সররকার তা জমা দিতে হবে। কারণ, ওই সকল পড়ুয়া স্কুলের হোস্টেলে থাকতেন। অভিযোগ,  হোস্টেল ফি-বাবদ তাঁদের যা খরচ হয়েছে তার জন্য ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে বলেই দাবি করেন প্রধান শিক্ষিকা। এদিকে, অতিমারীর জেরে গত এক বছর ধরে বন্ধ স্কুল। ছাত্রী নিবাসে ছিলেন না কেউ। তাহলে এই বর্ধিত ফি কীসের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা।

মহলের যুব সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষিকার এ হেন দাবির প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা ১০ হাজার টাকার পরিমাণ কমিয়ে ৮হাজার স্কুল কমিটিকে জমা দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু কেন এই টাকা চাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করেননি ওই শিক্ষিকা, অভিযোগ এমনটাই। যদিও, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা বাগাল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “মেয়েরা আমায় না জানিয়ে স্কুলে এসেছে। তাই আমি কমিটিকে ডাকতে পারিনি। সোমবার কমিটির সঙ্গেই কথা বলে জানিয়ে দেওয়া হবে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলির দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান করা হবে। কিন্তু পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জোগান কম থাকায় পড়ুয়াদের সরাসরি ট্যাব দেওয়া হবে না। বরং সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠানো হবে। তা দিয়ে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করার ট্যাব বা প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনে নিতে পারবে। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। প্রশ্ন উঠছে যে টাকা খোদ মুখ্য়মন্ত্রী কেবল পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করেছেন সেই টাকা কী করে কোনও স্কুল কমিটি জমা দেওয়ার দাবি জানাতে পারে? যদিও, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ

Next Article