Subhas Sarkar: সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে পড়ুয়ারা, স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী
School: তাঁর দাবি বড়দিন, নববর্ষ, গঙ্গাসাগর মেলা, হলে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও কারণ থাকে না।
বাঁকুড়া: এই প্রথম নয় একাধিকবার রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সবর হয়েছে বিরোধীরা। করোনায় লাগাম টানতে সব খুলে রাখা হলেও কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। এরপর সেই একই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগোড়ায় তুলে কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি স্কুল খোলা নিয়ে এ যাবৎ কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন রাজ্যকে মোট তেরোটি অ্যাডভাইসরি দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাডভাইসরি মেনে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল খোলা হলেও এই রাজ্যে স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার । দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এ রাজ্যের পড়ুয়ারা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে শিক্ষকদেরও।
করোনার বাড়বাড়ন্তে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাজ্যের স্কুলগুলির দরজা। মাঝে কিছুদিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি মিললেও ওমিক্রনের বাড় বাড়ন্তে ফের বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলের দরজা। এর মাঝেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের পড়ুয়াদের টিকাকরণ অনেকাংশেই শেষের মুখে। এই পরিস্থিতিতে করোনার বাড় বাড়ন্ত যখন ফের কমতে শুরু করেছে তখন কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।
স্কুল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারের ভূমিকাও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সেই সমালোচনাকেই উসকে দিলেন। তাঁর দাবি বড়দিন, নববর্ষ, গঙ্গাসাগর মেলা, নেতাজীর জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেখানে বহু মানুষের সমাগমের অনুমতি মিলছে। সেখানে স্কুল না খুলে রাজ্যের পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ফের কেন্দ্রের তরফে আলোচনা করে রাজ্যকে এ ব্যাপারে আরও একটি অ্যাডভাইসরি দেওয়া হতে পারে।
সুভাষ সরকার বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণক অ্যাডভাইসরি ইতিমধ্যে সমস্ত রাজ্য গুলিকে দিয়েছে। সেই মতো অধিকাংশ রাজ্য স্কুল খুলেও দিয়েছে। আমার তো শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভাবতে খুব কষ্ট লাগছে পড়ুয়াদের কথা ভেবে যে এখনও স্কুল খোলেনি এখানে। যেখানে ২৫ ডিসেম্বর হচ্ছে উৎসব হচ্ছে, গঙ্গাসাগর মেলা, গতকাল নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে প্রতিটি জায়গায় এত লোক জড়ো করেছে শাসকদলের মানুষেরা। সেখানে ছাত্রী ছাত্রীদের যেখানে একাদশ-দ্বাদশের টিকাকরণ অধিকাংশ হয়ে যাচ্ছে সেখানে স্কুল না খোলার কারণ কী বুঝে উঠতে পারছি না।”